ভোটার ও আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের পছন্দের শীর্ষে অবস্থান করছেন এডভোকেট বাকী বিল্লাহ। এ আসন ধরে রাখতে এডভোকেট বাকী বিল্লাহ বিকল্পও নেই বলে জানান ভোটাররা।
গোলাম রাব্বানী নাদিমঃ আসছে একাদশ নির্বাচনে এডভোকেট বাকী বিল্লাহ অন্যতম মনোনয়ন প্রত্যাশী। বিগত নির্বাচন গুলোতেও তিনি মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসাবে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন। প্রতিবারই আওয়ামীলীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশেই তিনি দলের সিদ্ধান্তের মধ্যে থেকে দলীয় প্রার্থীকে জেতাতে গুরুত্বর্পুণ ভুমিকা পালন করেছেন।
একটানা ১০ বছরে আওয়ামীলীগের শাসনামলে দলীয় প্রার্থী পরিবর্তণ করে নতুম মুখ চাইছে তৃণমুলের নেতাকর্মীসহ ভোটাররা। ভোটারদের চাওয়া পাওয়ার প্রথম পছন্দ হচ্ছেন এডভোকেট বাকী বিল্লাহ। এ কারণে ভোটার ও আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের পছন্দের শীর্ষে অবস্থান করছেন এডভোকেট বাকী বিল্লাহ। এ আসন ধরে রাখতে এডভোকেট বাকী বিল্লাহ বিকল্পও নেই বলে জানান ভোটাররা।
এডভোকেট আলহাজ্ব মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ, ১৯৫৯ সালের ৯ জানুয়ারী জামালপুরের মাদারগঞ্জ ইউনিয়নে করইচুড়া ইউনিয়নের পুর্ব নলছিয়া জন্ম গ্রহন করেন। দুই ভাই ও ৩ বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। ১৯৭৪ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষা পাশের পর দেশের সর্বেচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয় হতে রাস্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে উচ্চতর ডিগ্রী লাভ করেন। পরে তিনি একই বিশ্বাবিদ্যলয়ে অধীনে এল.এল.বি পাশ করে আইন পেশায় জড়িয়ে পড়েন। অধ্যয়রত অবস্থায় রাজনীতি জড়িয়ে পড়েন তিনি। ১৯৭৯ সালে সরকারী আশেক মাহামুদ কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে জেনারেল সেক্রেটারী (জিএস) পদ দিয়ে রাজনৈতিক জীবন শুরু। আশেক মাহামুদ কলেজের দুই দফায় জিএস নির্বাচিত হন মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ। পরে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য পদ লাভ করেন বাকী বিল্লাহ। ছাত্র থাকাকালীন এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভুমিকা পালন করেন।
স্বৈরাচারী বিরোধী আন্দোলন বেগবান করার লক্ষ্যে উত্তরাঞ্চলে প্রতিটি জেলায় সাংগঠনিক সফর করে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন জনমত গঠনে বলিষ্ঠ ভুমিকা পালন করেন এই মিষ্টভাষী ছাত্রনেতা। এর জন্য হুমকি ধুমকি ছিল প্রতিনিয়তই ছায়া সঙ্গী।
১৯৯৬ ও ২০০১ সালে নির্বাচনে জামালপুর-০৫ আসনের জন্য তিনি ছিলেন প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ও সমন্বয়কারী। এছাড়া ১৪ দলের সম্বন্বয়ক হিসাবে ২০০১ ও ২০১৮ সালে নির্বাচনে আওয়ামীলীগকে জেতাতে গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা পালন করেন।
১৯৭৯ সালে সরকারী আশেক মাহামুদ কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে জেনারেল সেক্রেটারী (জিএস) পদ দিয়ে রাজনৈতিক জীবন শুরু। সর্বশেষ তিনি জামালপুর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি।
এর মধ্যে ১৯৭৮ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত জামালপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি, ১৯৯০-১৯৯১ জামালপুর জেলা আওয়ামীলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক, ১৯৯১-১৯৯৬ পর্যন্ত জেলা আওয়ামীলীগের সংগঠনিক সম্পাদক, ১৯৯৬ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত দুই দফায় জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি শেষে ১লা মার্চ থেকে ২০ মে পর্যন্ত জেলা আওয়ামলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি। ২০১৫ সালে নামের সামনে ভারপ্রাপ্ত উঠে গিয়ে বর্তমানে তিনিই জামালপুর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি। এডভোকেট বাকী বিল্লাহ, সংকটময় জামালপুর জেলা আওয়ামীলীগের রাজনীতি দক্ষ হাতে সামলিয়েছেন। জামালপুর-০৩ ব্যতিত প্রতিটি আসনে কোন্দলে জর্জরিত উপজেলা আওয়ামীলীগের দক্ষ নির্দেশনার কারণে প্রতিটি আসনেই আওয়ামীলীগই প্রতিটিবার জয়যুক্ত হয়েছে।
বিএনপি জামাত জোট সরকারের আমলে এডভোকেট বাকী বিল্লাহকে হত্যাসহ বাড়ী বোমা দিয়ে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। পরে পুলিশ প্রহরায় দীর্ঘদিন পরিবারসহ দিনযাপন করেন তিনি।
১/১১ আওয়ামীলীগের সভানেত্রী শেখ সেনা সমর্থিত সরকারের হাতে অবৈধভাবে গ্রেফতারের পর শেখ হাসিনার মুক্তি দাবী করে ১০১জন আইনজীবি একটি বিবৃতি দেয়। ফলে সে সময় সেনা সমর্থিত সরকার কর্তৃক হুমকি ও নির্যাতনের স্বীকারও হন মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ।
পেশাগত ভাবে তিনি একজন আইনজীবি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্র বিজ্ঞানে সর্বেচ্চ ডিগ্রী অর্জণ শেষে আইন বিষয়ে সাফল্যের সাথে পাশ করে ১৯৮৬ সালে আইন পেশায় নিয়োজিত হন। ১৯৯৫ সালে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি হিসাবে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর জামালপুর জেলা আইনজীবি সমিতির ২ বার সাধারন সম্পাদক ও ৩ বার সভাপতি নির্বাচিত হন।
আইনপেশায় নিয়জিত থেকে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের নামে বিভিন্ন সময়ে মামলা মোকদ্দমা নিজ খরচে পরিচালনা করেন এডভোকেট বাকী বিল্লাহ।
জামালপুর প্রেসক্লাব, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, অমৃত থিয়েটার, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, অন্তরা ললিতকলা একাডেমী, আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম, জামালপুর সিনিয়র আলীম মাদরাসাসহ বিভিন্ন ধর্মীয়, সামাজিক, শিক্ষা ও জনহিতকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছেন তিনি।
ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত। স্ত্রী ডাঃ সাজাদা-ই-জান্নাত পেশায় একজন চিকিৎসক। বর্তমানে তিনি জামালপুর পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সহকারী পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। মেয়ে রিহান তাইয়্যাবা বিল্লাহও পিতার মতই আইন পেশায় জড়িত। তিনি একজন ব্যারিস্টার। ছেলে মাহিত মুতাসিম বিল্লাহ বর্তমানে অষ্ট্রলিয়ায় এম.বি.বি.এ অধ্যায়নরত।