জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার সাধুরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাহমুদুল আলমের বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা দায়ের করেছে তার দ্বিতীয় স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বকশিগঞ্জ আমলী আদালতে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার বাদী সাবিনার অভিযোগ, ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর মাহমুদুল আলমের সাথে রেজিস্ট্রি কাবিনমূলে বিবাহ হয়। স্বামী-স্ত্রী একসাথে ঘর সংসার করাবস্থায় মাহমুদুল আলম তার কাছে ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। যৌতুক দিতে না পারায় তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন। এ ঘটনায় আদালতে যৌতুকের মামলা দায়ের করলে বিনা যৌতুকে ঘর সংসার করার অঙ্গীকার করে আপোষ মীমাংসা করে। পরবর্তীতে ২০১৯ সালের ২ আগস্ট ৫ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য্য করে রেজিস্ট্রি কাবিনমূলে ফের বিবাহ করে। এরপর থেকে ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলমের সাথে সংসার করতে থাকে। ইতোমধ্যে তাদের ঘরে কন্যা সন্তান জন্ম হয়েছে। মারিহা মুবাখখিরা নামে ওই শিশু বয়স ৫ মাস ১১ দিন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
ইতোমধ্যে চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম ৭ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। যৌতুক না পেয়ে নানাভাবে নির্যাতন করে। সন্তানের কথা ভেবে নিরবে সহ্য করেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন।
গত ৯ মে ইউপি চেয়ারম্যান যৌতুকের জন্য স্ত্রী ও তার শিশু কন্যাকে হত্যার হুমকি দিয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার বাদী সাবিনা ইয়াসমিন তার স্বামী ইউপি চেয়ারম্যানকে শঠ, প্রতারক, অর্থলোভী, যৌতুক লোভী ও নারী নির্যাতনকারী বলেও উল্লেখ করেছেন।
সাবিনার আইনজীবী এডভোকেট রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, ২০১৮ সালের যৌতুক নিরোধ ৩৯নং আইনের ৩ ধারায় বকশীগঞ্জ আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেছেন সাবিনা ইয়াসমিন। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য সিআইডিতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে।
এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলমের মুঠোফোনে কল দেওয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি।