শওকত জামান : শাহ মাসুদ। এক পরিচ্ছন্ন তরুন রাজনীতিবীদের নাম। শ্লোগান মাস্টারখ্যাত কর্মী বান্ধব এই তরুন রাজনীতিবীদের রয়েছে বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ার।
দীর্ঘদিন শহর ছাত্রদলের আহবায়কের দায়িত্বে থেকে ছাত্র রাজনীতিতে রেখেছেন বিশেষ আবদান। তার সাংগঠনিক দক্ষতায় ছাত্র রাজনীতির পাট চুকিয়ে বর্তমানে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত রয়েছেন। দায়িত্ব পালন করছেন জেলা বিএনপির সহ-ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ও শহর বিএনপির সদস্য সচিবের পদে। শহর বিএনপির সদস্য সচিবের পদে থেকে নিষ্ঠার সাথে সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। দায়িত্ব পাওয়ার পর দলকে তৃনমুল পর্যায়ে ঢেলে সাজিয়েছেন তিনি।
প্রত্যেকটা ওয়ার্ডে প্রবীন নবিনের সমন্বয়ে কমিটি করে আগের চেয়ে বিএনপির তৃনমুলে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করেছেন রাজনৈতিক দুরদর্শিতা দক্ষ নেতৃত্ব দিয়ে। গড়ে দিয়েছেন তৃনমুলে শক্ত সাংগঠনিক ভিত।
তার রাজনৈতিক উথ্যানে ক্ষমতাসীন সরকারের কাছে আতংকের নাম শাহ মাসুদ। কারা নির্যাতিত এই নেতা বার বার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন। ৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত ৬ টি
২০০৮ থেকে ২০২২ পর্যন্ত ৪০ টি রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় মিথ্যা গায়েবি মামলা দায়ের করেছে বর্তমান সরকার। এই সরকারের আমলে রাজনৈতিক প্রতিহিংসামুলক সর্বোচ্চ মামলা তিনি।
উদিয়মান এই তরুন নেতাকে দমিয়ে রাখতে শুধু মিথ্যা হয়রানীমুলক মামলায় নয় একবার গ্রেপ্তার দুইবার কারাগারে নিক্ষেপ অসংখ্য বার বাসায় পুলিশি অভিযান,মিথ্যা অজুহাতে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। হয়েছেন একধিক বার হামলার শিকার। ব্যক্তিগত গাড়ি ভাংচুর করেছে আওয়ামীলীগের কর্মিরা। তাকে হত্যার উদ্দেশে আওয়ামী লীগের মিছিল থেকে হামলা করে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল। আল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান সে যাত্রায়। আরেকবার সন্ত্রাসীরা তার উপর হামলা করে বা হাতের আলনাভ নার্ভ সহ ১১ টি রগ কেটে দিয়েছিল। দীর্ঘদিন চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। এভাবেই বার বার প্রতিবদ্ধকতা সৃষ্টি করে রাজনীতির পথে তাকে দমাতে রাখতে পারেনি অপশক্তিরা।
কর্মীদের মনজয় করে রাজনৈতিক মাঠে দক্ষতার স্বাক্ষর রেখে জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে নিজেকে অপরিহার্য করে তুলেছেন শাহ মাসুদ। খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বীরের বেশে তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনার আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন এই সাহসী রাজনীতিবীদ।
বিএনপির তৃনমুলের নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে শাহ মাসুদের রাজনৈতিক দক্ষতা ও তার উপর বর্তমান সরকারের নির্যাতন নিপিড়নের এমনই তথ্য পাওয়া গেল।
আসন্ন শহর বিএনপির সন্মেলনে কারা নির্যাতিত ত্যাগী,কর্মদক্ষ ও সাহসী নেতা শাহ মাসুদকে সাধারন সম্পাদক পদে দেখতে চায় মাঠ পর্যায়ের তৃনমুলের নেতাকর্মীরা। তারা আরো বলেন, শাহ মাসুদ শহর বিএনপির সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হলে সরকার বিরোধী আন্দোলনের আরো গতি সঞ্চার হবে।
কথা হয় শহর বিএনপির সাধারন সম্পাদক প্রার্থী শাহ মাসুদের সাথে। তিনি বলেন, শহীদ জিয়া আমার দর্শন, বেগম খালেদা জিয়া আমার আদর্শ ও তারেক রহমান আমার রাজনৈতিক আইকন। এডভোকেট ওয়ারেছ আলী মামুন আমার রাজনৈতিক শিক্ষা গুরু। তার নেতৃত্বে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও ফরমায়েশি মামলায় সাজা মুক্ত করে তারেক রহমানকে বীরের বেশে দেশে ফিরিয়ে আনার আন্দোলন করে যাচ্ছি। নিজের শরীরে একবিন্দু রক্ত থাকা পর্যন্ত নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাবো। প্রয়োজনে
রাজপথে নিজের রক্ত ঢেলে দিয়ে হলে মা মাটি মানুষের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ােক মুক্ত করবো ইনশাল্লাহ।
তিনি আরো বলেন, আগামীতে শহর বিএনপির দায়িত্ব পেলে গ্রাম,ওয়ার্ড ও শহর বিএনপির সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করে সরকার বিরোধী আন্দোলন আরো বেগবান করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই বিএনপি নেতা।