দ্বিতীয় দিনের মতো ইউক্রেনে হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া, যাকে গত কয়েক দশকের মধ্যে ইউরোপের সবচেয়ে বড় যুদ্ধ বলে মনে করা হচ্ছে।
ইউক্রেনের যুদ্ধ নিয়ে সর্বশেষ যেসব তথ্য জানা যাচ্ছে:
- রুশ সৈন্যরা উত্তর, দক্ষিণ এবং পূর্ব দিক দিয়ে ইউক্রেনে ঢুকেছে। রুশ সৈন্যরা এখন কিয়েভের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে।
- শুক্রবার সকাল থেকে কিয়েভে একাধিক বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। কিয়েভে রাশিয়ার একটি বিমান ভূপাতিত করা হয়েছে।
- ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, নাশকতাকারীরা কিয়েভে প্রবেশ করেছে। রাশিয়ার হামলায় সামরিক-বেসামরিক মিলিয়ে ১৩৭জন নিহত হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
- ইউক্রেনের বড় বড় অনেক শহর এবং সেনা ঘাঁটিতে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার খবর পাওয়া যাচ্ছে
- পুরো ইউক্রেন জুড়ে যুদ্ধ শুরু হয়েছে। বিশেষ করে পূর্ব ইউক্রেনের খারকিভে বড় যুদ্ধ হচ্ছে। এছাড়া উত্তর ইউক্রেনে, দক্ষিণের ওডেসায় লড়াই চলছে।
- তেজস্ক্রিয় চেরনোবিল পারমাণবিক এলাকা রুশ সেনাদের হাতে চলে গেছে। সেখানে অনেককে জিম্মি করা হয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে।
- যুদ্ধক্ষেত্র ছেড়ে পালাচ্ছে হাজার হাজার ইউক্রেনিয় নাগরিক। অনেকে পোল্যান্ড ও রোমানিয়ার সীমান্তে আশ্রয় নিয়েছেন। তবে বেশিরভাগ ইউক্রেনিয় নিজের এলাকায় থেকেই বাঙ্কারে, ভূগর্ভস্থ স্টেশনে আশ্রয় নিয়ে রয়েছেন।
- যুদ্ধ করার উপযুক্ত সবাইকে দেশের জন্য অস্ত্র হাতে লড়াই করার আহ্বান জানিয়েছে ইউক্রেনের সরকার।
- ইউক্রেন থেকে বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা হচ্ছে বলে সরকার জানিয়েছে
- ইউরোপীয় ইউনিয়ন, অস্ট্রেলিয়া এবং জাপান নতুন করে রাশিয়ার ব্যাংক, কোম্পানি এবং ব্যক্তিদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ইউক্রেনের জন্য সামরিক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো।
- ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রঁ জানিয়েছেন, তিনি ভ্লাদিমির পুতিনকে টেলিফোন করে হামলা বন্ধের জন্য বলেছেন।
- হামলার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, রাশিয়াকে রক্ষায় আর কোন বিকল্প ছিল না।
- যুদ্ধে জড়ানোর প্রতিবাদে রাশিয়ার বিভিন্ন শহরে হাজার-হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছে। বিক্ষোভের সময় শত শত মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।