স্টাফ রিপোর্টারঃ জামালপুরের বকশীগঞ্জে সু—প্রতিষ্ঠিত বাট্টাজোড় কে.আর.আই কামিল মাদ্রাসা নিয়ে ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে একটি চক্র। এর ধারাবাহিকতায় মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের সদস্য, সাবেক সভাপতি ও বিশিষ্ট্য শিল্পপতি আল মামুন সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন সংবাদ সম্মেলন করে তা কিছু সাংবাদিক দিয়ে প্রচার করে মাদ্রাসাটি দুর্নাম রটনার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
কে এই আল মামুন সিদ্দিকীঃ আল মামুন সিদ্দিকী হচ্ছে বাট্টাজোড় কে, আর আই কামিল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের অন্যতম সদস্য। তিনি ঢাকায় একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ও বস ট্যাংকির মালিক। তিনি নারায়গঞ্জ জেলার তারাবো পৌরসভার মেয়র হাসিনাগাজী ছোট ভাই।
আল মামুন সিদ্দিকী এক সময় এই মাদ্রাসার সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার দায়িত্ব কালের নিজের টাকা ব্যায় মাদ্রাসাটির চারিপাশে বাউন্ডারী দেওয়াল নির্মানসহ শ্রেনী কক্ষ নির্মাণ করে দেন। এছাড়া দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে বিপুল পরিমান অর্থও ব্যায় করে থাকেন। মাদ্রাসায় সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন কালে অত্যন্ত স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সাথে তিনি দায়িত্ব পালন করেন বলে সুখ্যাতিও রয়েছে।
আল মামুন সিদ্দিকীর অর্থায়নের দানকৃত একটি ঘর। এমন ঘর প্রায় শতাধিক দরিদ্রদের মাঝে দান করেছেন তিনি।
এলাকায় তিনি দানশীল হিসাবে পরিচিত। বিভিন্ন মসজিদ মাদ্রাসায় তিনি সবসময় দান করে থাকেন। জিন্নাবাজার নুরানী কাওমী মাদ্রাসা, পলাশতলা নুরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসা, গোয়ালগাও নারনী মাদ্রাসা, ছোবাহানিয়া নুরানী হাফেজিয়া মাদ্রাসা, ইসলামপুরের মহলগীরি নুরানী হাফেজিয়া মাদ্রাসাসহ এলাকায় অংশ দ্বীনই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তার দানের হাত প্রসারিত করে থাকেন।
নিজ গ্রামে বীরগাঁও মাদ্রাসাবাড়ী জামে মসজিদের সমস্ত নির্মান খরচ তিনি নিজের বহন করেন। এছাড়া মসজিদ সংলগ্ন অতিথিদের বসা ও থাকারঘরসহ নিজে জমি কিনে কবরস্থানের নামে দান করেছেন।
এলাকায় নুন্যতম ২ লক্ষ টাকা করে ব্যায়ে শতধিক দরিদ্র মানুষকে নিজ খরচে ঘর নির্মান করে দিয়েছেন এই আল মামুণ সিদ্দিকী। এছাড়া এলাকার দুই শাতাধিক ব্যক্তিকে চিকিৎসার জন্য নগদ অর্থ অব্যাহতভাবে দান করে থাকেন।
এই আল মামুন সিদ্দিকীর বিরুদ্ধেই মনগড়া অভিযোগ এনে অজ্ঞাত স্থান থেকে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন মাদ্রাসার কমিটির ১০ বছর পুর্বের সদস্য আবু সাইদ। এরপর থেকে এলাকা প্রচন্ড ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে আল মামুন সিদ্দিকী সাংবাদিকদের জানান, আমি কোন অন্যায় করেনি। যদি করে থাকি সরজমিনের গিয়ে দেখুন। আমি অন্যায় বা অনিময় করে থাকলে অবশ্যই সাংবাদিকরা লেখবে। পাশাপাশি ভাল কাজ করার লেখারও অনুরোধ করেন আল মামুন সিদ্দিকী।