জামালপুরঃ জামালপুরের বকশীগঞ্জে একটি বেসরকারী ক্লিনিকে এক্সরের কক্ষে নারী রোগীর শ্লীতাহানীর অভিযোগে শেখ ফরিদ (২৮) নামে এক ট্যাকলোজিষ্ট আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার বিকালে বকশীগঞ্জ মালীবাগ মোড় এলাকায় ডাঃ আব্দুল গনি হেলথ কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে।
শেখ ফরিদ, শেরপুর সদর উপজেলা বটতলা চৈতনখোলা গ্রামের সুরুজ আলীর ছেলে। সে বকশীগঞ্জে ডাঃ আব্দুল গণি হেলথ কমপ্লেক্সে এক্সরে ট্যাকলোজিষ্ট হিসাবে কর্মরত আছেন।
ঘটনার শিকার নারী রোগী জানান, দীর্ঘদিন যাবত কোমর এর ব্যাথায় ভোগতেছিলেন। এসময় চিকিৎসার জন্য বকশীগঞ্জ মালীবাগ মোড়ে অবস্থিত ডাঃ আব্দুল গণি হেলথ কমপ্লেক্সে যায়। এ সময় চিকিৎসক তাকে এক্সেরে করার নির্দেশ দিলে নির্দিষ্ট টাকা জমা দিয়ে এক্সেরে কক্ষে প্রবেশ করেন। এ সময় এক্সেরে কক্ষে অপেক্ষামান ট্যাকলোজিষ্ট শেখ ফরিদ দরজা বন্ধ করে দিয়ে তার সাথে শ্লীতাহানী করার চেষ্টা করে। পরে ডাক চিৎকারে বাহিরে অপেক্ষামান স্বামী গিয়ে প্রতিবাদ করলে তাকে ও তার স্বামীকে মারধোর করে ক্লিনিকের একটি আটকে রাখে।
পরে পুলিশের বিশেষ সেবা ৯৯৯ ফোন দিয়ে অভিযোগ জানালে বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ নারী রোগী ও তার স্বামীকে উদ্ধার করে। এ সময় শ্লীলতাহানী করার অভিযোগে এক্সরে টেকনোজিষ্ট শেখ ফরিদকে আটক করে।
বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম সম্রাট রাতে সাংবাদিকদের জানান, নারী রোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে একজনকে আটক করার হয়েছে। এ বিষয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।