বকশীগঞ্জঃ সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত নির্দেশনা অনুযায়ী গত ২৮/০৮/২০২০ খ্রি. বকশীগঞ্জ সরকারি কিয়ামত উল্লাহ কলেজে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির লক্ষ্যে অধ্যক্ষ মহোদয় স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ০৯ আগস্ট,২০২০ হতে কলেজের মানবিক শাখায়- ৪১০, বিজ্ঞান শাখায়-২০০ এবং ব্যবসায় শিক্ষা শাখায়- ২০০ সহ সর্বমোট ৮১০ টি আসনের বিপরীতে শিক্ষার্থীরা অনলাইনে প্রাথমিক আবেদন করতে পারবে এবং এ আবেদন চলবে ২০ আগস্ট, ২০২০ পর্যন্ত।
ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে কলেজের EIIN নম্বরঃ 109725।
উল্লেখ্য, ‘বকশীগঞ্জ সরকারি কিয়ামত উল্লাহ কলেজ’ জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার একমাত্র সরকারি কলেজ। ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত ঐতিহ্যবাহী এ কলেজটিতে রয়েছে একটি প্রশাসনিক ভবন, দুটি একাডেমিক ভবন, একটি সমৃদ্ধ লাইব্রেরি, বিজ্ঞানাগার এবং স্বতন্ত্র ছাত্রী কমন রুম। ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য রয়েছে পৃথক ওয়াশরুম ও পানীয় জলের সুব্যবস্থা। শিক্ষার্থীদের খেলা-ধূলার জন্য রয়েছে প্রয়োজনীয় ক্রীড়া সামগ্রীসহ সুপ্রশস্ত মাঠ। এছাড়া কলেজের রয়েছে একটি নিজস্ব মসজিদ।
“শিক্ষা নিয়ে গড়ব দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ”- এই স্লোগানকে সামনে রেখে কলেজ অধ্যক্ষ, প্রফেসর মোহাম্মাদ নূরুল ইসলাম আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের এক ঝাঁক তরুণ মেধাবী শিক্ষক-কর্মকর্তা কলেজের শিক্ষার মানোন্নয়নে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমান অধ্যক্ষ যোগদানের পর কলেজের শিক্ষার সার্বিক পরিবেশ উন্নয়নে বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন এবং তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন।
যেমন- ১। প্রতিদিন শরীরচর্চা শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে নিয়মিত অ্যাসেম্বলির মাধ্যমে কলেজের কার্যক্রম শুরু হয়।
২। কলেজের প্রাত্যহিক শ্রেণি কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা ও তদারকির জন্য শিক্ষক-কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি শক্তিশালী ভিজিল্যান্স টিম সার্বক্ষণিক কাজ করে।
৩। শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তায় বহিরাগতদের কলেজে প্রবেশ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করতে শিক্ষার্থীদের ইউনিফর্ম ও শিক্ষার্থী অাইডি কার্ড বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
৪। শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে পুরো কলেজ ক্যাম্পাসকে সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে অাসা হয়েছে।
৫। কলেজ অভ্যন্তরীণ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সর্বোচ্চ ফলাফলধারী শিক্ষার্থীদের উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে প্রতি বিভাগ থেকে ১ম,২য় এবং তৃতীয় স্থান অর্জনকারী শিক্ষার্থীকে বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হয়ে থাকে।
৬। দরিদ্র তহবিল থেকে গরিব ও অসহায় শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। ক্ষেত্র বিশেষে তাদের বিনামূল্যে বই-পুস্তক প্রদান করে সহায়তা করা হয়।
৭। বিশেষ মুহূর্তে শিক্ষার্থীদের অনলাইনে পাঠদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
৮। বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ব্যবহারিক ক্লাসের ব্যবস্থা গৃহীত হয়েছে।
৯। শিক্ষার্থীদের সুস্থ মননশীলতার বিকাশ এবং তাদের মধ্যে জ্ঞানচর্চা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিয়মিত লাইব্রেরি ওয়ার্কের মাধ্যমে পাঠাভ্যাস গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
১০। সহ-শিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে প্রতিবছর বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং শিক্ষা সফরের আয়োজন করা হয়।
১১। মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের সাহায্যে পাঠদানের ব্যবস্থা রয়েছে।
১২। অবকাঠামোগত উন্নয়নের লক্ষ্যে বিজ্ঞান শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় অত্যাধুনিক ছয়তলা ভবন নির্মাণ কাজ চলমান আছে। ১৩। আধুনিক প্রযুক্তির সাথে শিক্ষার্থীদের মেলবন্ধন সৃষ্টির লক্ষ্যে খুব সহসাই আগ্রহী শিক্ষার্থীদের কম্পিউটার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এছাড়া মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত কল্পে এবং এসডিজি-৪ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অত্র কলেজ এ অঞ্চলে শিক্ষা বিস্তারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে চলেছে।