বকশীগঞ্জঃ বৈশ্বিক মহামারী করোনার বয়স ৮ মাস হতে চলল এখন পর্যন্ত আমরা করোনার প্রতিষোধক আবিস্কার করতে পারি নাই।
করোনার তান্ডবে ৮৬ লক্ষ ৮৫ হাজার মানুষ আজ আক্রান্ত। এর মধ্যে মারা গেছে ৪ লক্ষ ৫৯ হাজার মানুষ। জ্ঞান বিজ্ঞানসহ সর্ব ক্ষেত্রে র্শীষে থাকা আমেরিকা মৃত্যু ও আক্রান্তের দিক থেকেও র্শীষস্থান ধরে রেখেছে। এত প্রযুক্তি থাকা স্বত্বেও আমেরিকার কিছুই কাজে আসছে না।
অবকাঠামো, তথ্য প্রযুক্তি ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমরা প্রভৃত উন্নয়ন করতে পারলেও চিকিৎসা বিজ্ঞানে আমাদের দুর্বলতা ফুটে উঠেছে।
আমরা শুধু জীবনকে সুন্দর ও আনন্দময় করতে আমাদের মেধা ও শ্রমকে প্রযুক্তি খাতেই ব্যবহার করতে শিখেছি। কিন্তু জীবন বাঁচাতে চিকিৎসা বিজ্ঞানে দক্ষ মানুষ তৈরী করতে পারিনি।
মানুষ ধ্বংস করার জন্য অস্ত্র তৈরী করতে বিশ্বের তাবত বিজ্ঞানীরা পরমানু গবেষনা মত্ত কিন্তু ৮ মাসেও এখন পর্যন্ত করোনা প্রতিরোধে কিছুই অবিস্কার করতেই পারেনি আমাদের বিজ্ঞান।
আবিস্কারের মধ্যে একটাই ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান দিয়ে একটানা হাত ধুতে হবে। মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। এছাড়া করোনা প্রতিরোধে কোন কিছুই আবিস্কার করতে পারেনি।
আলেজান্ডার ফ্লেমিংয়ের সেই এন্টি-বায়োটিকসহ কিছু পুরাতন ঔষুধের মধ্যেই আমরা ঘুরাফিরা করছি।
ডেক্সামেথাসন, আইভারমেকটিম, হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন, রেমডেসিভির এগুলো অনেক আগেই অবিস্ককৃত ঔষুধ। একের পর এক মানুষের উপর পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হলেও নতুন কোন আবিস্কারই করতে পারছে না আমাদের বিজ্ঞানীরা।
এখন পর্যন্ত আমরা করোনার সাথে খালি হাতেই যুদ্ধ করেই যাচ্ছি। পাচ্ছি না কোন অস্ত্র। অজানা অতঙ্কের সারা পৃথিবীই আতঙ্কিত এই করোনা প্রতিরোধে একজন অ্যালেকজান্ডার ফ্লেমিংয়ের খুবই দরকার হয়ে পড়েছে।