স্টাফ রিপোর্টারঃ জামালপুরসহ ময়মনসিংহ বিভাগের প্রতিটি জেলা রেড জোনে আর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে। এর যৌক্তিক কারনেও রয়েছে। করোনার হটস্পট গাজীপুরের পাশ্ববর্তী জেলা জামালপুর হওয়ায় গাজীপুর বা রাজধানীর সাথে সব সময় যোগাযোগ রয়েছে এলাকার সাধারন মানুষের।
এছাড়া জামালপুরের প্রতিটি উপজেলার মানুষ কর্মের অন্বেষণে রাজধানী ঢাকার উপর নির্ভরশীল। একমাত্র যোগাযোগের কারণেই জামালপুরের করোনার সংক্রমনের হার দেশের অন্যান্য জেলার তুলনায় অনেক বেশি।
জামালপুর সিভিল সার্জন সুত্রে জানাগেছে, জামালপুরে মোট নমুনা সংগ্রহ ৪৫৯৬ জন। এতে ৪১২ জনের শরীরের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
উপজেলা ভিত্তিক যদি ধরা যায়, সরিষাবাড়ী উপজেলায়- ৩৭, মেলান্দহ উপজেলায় ৬৩, মাদারগঞ্জ উপজেরায় ২৬, বকশীগঞ্জ উপজেলায়- ৪৭, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায়- ৩২, ইসলামপুর উপজেলায় ৭৩, ও জামালপুর সদর উপজেলায় ১৩৪ জন করোনায় শনাক্ত হয়েছে। জেলায় এ পর্যন্ত মারা গেছে ৫ জন।
পাশ্ববর্তী শেরপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার ট্রানজিট হিসাবে এই জামালপুর জেলা ব্যবহৃত হয়ে থাকে। সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ায় এই জেলায় করোনার সংক্রমনের হারও অনেক বেশি ও অত্যন্ত ঝুকিপুর্ণ জেলায় অবস্থান করছে।
প্রতিদিনই আশংকাজন হারে এ জেলায় করোনা শনাক্তের হার বৃদ্ধি পেয়েই চলছে। বিশেষকরে বকশীগঞ্জে করোনার শনাক্তের হার অন্যান্য উপজেলার তুলনায় অনেক বেশি। জামালপুর সদর, মাদারগঞ্জ ও ইসলামপুর উপজেলার পরেই বকশীগঞ্জের অবস্থান।
অর্থনৈতিকভাবে জামালপুরের অন্যান্য উপজেলার তুলনায় বকশীগঞ্জের অবস্থান একবারেই তলানীতে। জীবন বাঁচার তাগিদেই বাধ্য হয়ে এই অঞ্চলের মানুষের কর্মের জন্য এদকি সেদিক ছুটতে হয়।
ফলে সচেতনতার অভাবে এই এলাকার মানুষ দিন দিন মানুষ করোনায় শনাক্ত হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আ.স.ম জামশেদ খোন্দকার ও বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামের স্বপ্রনোদিত কড়াকড়ি কারণে এতদিন করোনা সংক্রমন রোধে করা সম্ভব হলেও লক ডাউন শিথিল হওয়ায় মানুষ নিয়ন্ত্রনের মধ্যে থাকতে চাচ্ছে না। ফলে করোনা সংক্রমনের হার দিন দিন বেড়েই চলছে।
এলাকার মানুষের জীবন রক্ষার্থে অতিদ্রুত রেডজোনে আওয়তায় এনে বকশীগঞ্জে দ্রুত কঠোর লকডাউনের বিকল্প নেই।