গোলাম রাব্বানী নাদিম
বেশ কয়েকদিন যাবত হাতি নিয়ে লেখছি.. সম্প্রতি হাতি পায়ে পিষ্ঠ হয়ে এক কৃষক মারাও গেছে। চলতি বছরেই কলেজছাত্র সহ এই বকশীগঞ্জেই হাতির আক্রমনে ৪জনের প্রাণহানী ঘটেছে। হাতির চলমান আক্রমনে প্রায় ১৫ একর জমির ধান ধ্বংস হয়ে গেছে।
কয়েকদিন যাবত মাথায় শুধু হাতি আর হাতি। হাতিকে নিয়ে কি লেখা যায় সারাদিন মাথায় গিজগিজ করতেই থাকে। ভাবতে ভাবতে বিছানে একটু মাথা দেওয়ার সাথে সাথে ঘুমের কাছে হার।
ওরে বাবা, ঘুমের মধ্যেও দেখি হাতি মহাশয় হাজির।
লম্বা শূর দিয়ে লম্বা ছালাম। কিন্তু ঘুমের মধ্যেও ভয়। প্রান বাঁচাতে দিলাম দৌড়। কিন্তু শত চেষ্টা করেও পালাতেও পারলাম না। হাতি মহাশয় পিছে পিছে দৌড়ে শেষ পর্যন্ত ধরেই ফেলল।
শূরদিয়ে পেঁচিয়ে কাছে টেনে নিয়ে বলল, ভয় কেন পাও? মারতে তো আসি নাই কিছু কথা বলতে এসেছি, কিছু কথা জানাতে এসেছি।
তারপর বলতে শুরু করল কথা..
পৃথিবীর নামে এই গ্রহটি কি মানুষের জন্যই সৃষ্টি করা হয়েছে? এই গ্রহে শুধু মানুষই বাস করবে? আমাদের কি বাঁচার অধিকার নাই?
কথা শোনে বুকে সাহস এলো, উত্তর গুলো দিতে শুরু করলাম। উত্তর শেষ হতে না হতেই আবার বলতে শুরু করলো. তাই যদি হয় মানুষেরা কেন জঙ্গলে বাস করে? আমাদের আবাস স্থল দখল করে, আমাদের খাদ্য সমাগ্রী ধ্বংস করে তোমরা ফসল ফলাও, তোমার খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের খাদ্যের ঘাটতি হয়। আমরা কোথায় যাব? খাদ্যের জন্য ছুটতে হয় দিক বেদিক। শেষ পর্যন্ত জীবন বাঁচাতে তোমাদের খাদ্য দিয়ে আমাদের জীবন বাঁচাতে হয়।
আমরা পাহাড়ে থাকি, পাহাড় আমাদের বাড়ী, পাহাড়ই আমাদের খাদ্যের অন্যতম যোগানদাতা এটাই নিয়ম আর এটাই প্রকৃতি।
প্রকৃতির নিয়মে বাঁধা দিলেই ধ্বংস অনিবার্য। নাদীতে বাঁধ দিয়ে পানি আটকে দিলে একদিকে মরুভুমি অন্যদিকে বন্যা।
প্রকৃতির মাঝেই আমাদের বাঁচতে দাও। আমরা বাঁচতে চাই। ফিরিয়ে দাও আমাদের আবাসস্থল।