গোলাম রাব্বানী নাদিমঃ প্রতিদিন খবরের কাগজটা খোললেই ভেসে আসতো উইঘুর মসুলমানদের উপর নির্যাতনের খবর। ফিলিস্তিনির উপর নির্মম অত্যচারের কাহিনী নিত্যাদিনের সঙ্গী। ইরাক আর আফগানিস্তানে মৃত যেন স্বাভাবিক ঘটনা।
সম্প্রতি ভারতে মসজিদ ধ্বংসের ছবি সারা বিশ্বের মুসলমানদের নাড়া দিলেও চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া আর কিছুই উপায় ছিল না। বিশ্বের অর্থনীতির শক্তির মোড়ল চীন বিপর্যস্থ, অস্ত্র আর সামরিক মোড়ল আমেরিকাসহ গোটা পৃথিবী এখন ছোট একটা ভাইরাসে আজ কম্পিত। জ্ঞান বিজ্ঞান, চিকিৎসা ও আধুনিক প্রযুক্তিতে উন্নত দেশ গুলোতে এই ভাইরাস মহামারীর রূপ ধারণ করেছে।
করোনা দিয়ে স্রষ্টা এক শ্রেষ্ঠ ঝাকুনি দিচ্ছেন আমাদের। এই ঝাকুনিতে মানুষের তৈরী জ্ঞান বিজ্ঞান কাজেই আসছে না। সামান্য একটি ভাইরাস যা চোখেও দেখা যায় না, সেটি দিয়ে মানুষ একের পর এক মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে।
মানুষ যখন খাদ্য শষ্য পাত্রে তুলে ঝাকুনি দেয়, তাতে অনেক গুলোই নিচে পড়ে যায়, আবার নিচের গুলি উপর চলে আসে অনুরূপ করোনা মহামারী শেষে অনেক দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে, অনেক জাতি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে, অনেক দেশ দেওলিয়া হয়ে যাবে।
বিশ্বের মহা শক্তিশালী দেশ আমেরিকায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১০৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩০০ জনে।
এদিকে বুধবার সারা বিশ্বের ১৭০টি দেশে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। এরই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মৃতের সংখ্যাও ছাড়িয়েছে ৮ হাজার।
সার্বিক প্রেক্ষাপটে গভীর উদ্বেগ জানাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সব দেশের সরকারকে এ ভাইরাসের হুমকি মোকাবিলায় দ্রুতগতিতে কঠোর সব পদক্ষেপ নিতে বলছে তারা। অন্যথায় দিনে দিনে আরও ভয়াল বাস্তবতার দিকে এগিয়ে যাওয়ার শঙ্কা জোরালো হচ্ছে।
এখন খবরের পাতায় বোমা হামলা, শিশু হত্যা, নারী নির্যাতনের খবর দেখা যায় না। চারিদিকে করোনা ভাইরাসের জয় জয়কার। ব্যস্ততম রাস্তাঘাট গুলিও ফাঁকা, জনমানব শুন্য। মসজিদে আজান হলেও আজান শেষে বলে দেওয়া হচ্ছে মসজিদে আসার দরকার নেই, বাসাতেই নামাজ আদায় করুন। মন্দির গুলো বন্ধ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনেক আগেই বন্ধ হয়ে গেছে।
স্রষ্টা চাইলে সবই করতে পারেন, করোনার চেয়ে উৎকৃষ্ট উদাহারন হতে পারে না।