গোলাম রাব্বানী নাদিমঃ ভেবেছিলাম লেখব না, কিন্তু না লেখে থাকতেও পারলাম না। ৮ ফেব্রুয়ারী শনিবার সারা বকশীগঞ্জে বাবুল চিশতিকে নিয়ে উত্তাল। কয়েকজন চাইছে বাবুল চিশতির মুক্তি আর ওই কয়জন ব্যতিত বকশীগঞ্জে সর্বস্তরের মানুষ চাইছে বাবুল চিশতির উপযুক্ত শাস্তি।
একজন সাংবাদিক হিসাবে দুই জায়গাতেই যাওয়ার সুযোগ হয়েছে। আর একজন মানুষ হিসাবে আমার কাছে সবচেয়ে ঘৃণিত আর জঘন্য ব্যক্তিটি হচ্ছে বাবুল চিশতি। আর সাংবাদিক হিসাবের সংবাদের খোরাক হচ্ছে বাবুল চিশতি।
গত ২০১৮ সালের ১০ এপ্রিল দুদকের দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতার হয়ে জেল হাজতে রয়েছে বাবুল চিশতি ও তার একমাত্র সন্তান রাশেদুল হক চিশতি। এর পর থেকে স্ত্রী রোজী চিশতি, মেয়ে রিমি চিশতি, পুত্রবধু ফারহানা চিশতি, শ্যালক মোস্তুফা কামাল ও শ্যালকের স্ত্রী সাজলী শবনমের বিরুদ্ধে মোট ১৭টি মামলা হয়েছে। সম্প্রতি রোজী চিশতি ও তার মেয়ে রিমি চিশতি জামিনে রয়েছেন। শ্যালকের স্ত্রী সাজলি শবনম দীর্ঘদিন কারাগারের থাকার পর জামিনে মুক্ত হলেও শ্যালক মোস্তুফা কামাল জেল হাজতে রয়েছে।
মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে তাকালে বড়ই অসহায় তাদের পরিবার। কিন্তু তাদের দ্বারা সংগঠিত অপরাধের দিকে তাকালে তাদের এই বিপর্যয় কিছুই নয়।
কত মানুষ চিশতির পরিবার দ্বারা শারীরিক ও অর্থনৈতিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, তা যদি বকশীগঞ্জের মানুষ জানতো তবে এই পরিবারের উপর ঘৃণার পাহাড় তৈরী হত।
বকশীগঞ্জ চরকাউরিয়া দড়িপাড়া এলাকায় একটি বিশাল আকৃতির ইন্ড্রাস্ট্রি করেছে। বাবুল চিশতি ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল পার্ক নামে খ্যাত সর্বশেষ বেতন শীট অনুযায়ী সেখানে বকশীগঞ্জসহ সর্বমোট ৫৪৩জন মানুষ চাকুরী করত। এর মধ্যে বকশীগঞ্জের বসবাসকারী সংখ্যা ছিল মাত্র ১১৩জন। যারা ছিল তারা তাদের বেতন ছিল দৈনিক ১২০ টাকা হারে সপ্তাহিক ৬দিন। সকল কর্মকর্তারাই ছিল জামালপুরের বাইরে।
বাবুল চিশতি আটকের এক মাসের মধ্যেই একে একে জুতার কারখানা, প্লাস্ট্রিক কারখানা ও জুট মিল বন্ধ হয়ে যায়। বেকার হয়ে যায় বকশীগঞ্জে ১১৩জন শ্রমিক। মুলত এই ইন্ড্রাস্ট্রিট কারখানাটি একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের কথা বলে জমি দখল করাই ছিল তার প্রধান ও একমাত্র উদ্দেশ্য। মুলত জমি দখল, অনিয়ম ও দুর্নীতি ঢাকতে এই প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত পেট্রোল পাম্প, বনফুল টুরিষ্ট্র কমপ্লেক্সে চলছে।
চলবে..