গোলাম রাব্বানী নাদিমঃ প্রিয় নেতার মনোনয়ন নিশ্চিয়তা, এই বুঝি মনোনয়ন পেল, খবর কি? ভাই পামু তো? না পেলে থাকতে পারমু না, না দিলেই ফেল, দিলে জয়ী, সকাল ১১টার মধ্যেই ফেল, ১২টার মধ্যেই বিজয়ী, মনোনয়ন না পাইলে দল ছাড়মু, এসব কথা এখন মুখে মুখে। প্রতিটি নেতার সমর্থকরা চেয়ে আছে ঢাকার দিকে। এই বুঝি খবর এল প্রিয় নেতার মনোনয়ন।
বকশীগঞ্জ উপজেলায় ৪ প্রার্থীর সমর্থকরা তাকিয়ে রয়েছে ঢাকায় কেন্দ্রিয় অফিসের সিদ্ধান্তের দিকে।
স্থানীয়ভাবে চুল ছেড়া বিশ্লেষন চলছে তো চলছেই। নিজের পছন্দের প্রার্থীর শুভকামনা ও মনোনয়ন প্রাপ্তির কারন তুলে ধরছেন। প্রতিটি সমর্থকদের কাছে নিজের পছন্দের প্রার্থীর সুনাম, আর বিপক্ষে প্রার্থীর বদনাম।
তবে সবচেয়ে উল্লেখ্য যোগ্য বিষয় হচ্ছে মনোনয়ন যুদ্ধে ঘায়েল হচ্ছে নিজ দলের নেতারাই। নিজেরাই যেন নিজেদের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বি।
বকশীগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামীলীগের সবচেয়ে আলোচিত উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নুর মোহাম্মদ ও বর্তমান এমপি আবুল কালাম আজাদ।
আর বিএনপি প্রার্থী হিসাবে আব্দুল কাইয়ুম আর রশিদুজ্জামান মিল্লাত। আব্দুল কাইয়ুমের সমর্থকদের দাবী গত ১০ বছর একদিনের জন্যও রশিদুজ্জামান মিল্লাত মাঠে আসেনি। এ সময় পুরো দলটাকে টিকিয়ে রেখেছে আব্দুল কাইয়ুম। তাদের বিশ্বাস মনোনয়ন পাবেন পুলিশের সাবেক আইজিপি আব্দুল কাইয়ুম।
এদিকে মিল্লাত সমর্থকদের বিশ্বাস, এ আসন পেতে হলে সাবেক এমপি রশিদুজ্জামান মিল্লাতের বিকল্প নেই। তাই জয় পরাজয়ের হিসাব করে মিল্লাতই পাচ্ছেন মনোনয়ন।
আওয়ামীলীগের মধ্যেও একই অবস্থা। নিজ নিজ পছন্দের নেতা মনোনয়ন পেলে জয় শতভাগ এমনটা আশা নিয়ে বসে আছেন সমর্থকরা।