রোকনুজ্জামান সবুজঃ সারা দেশের ন্যায় জামালপুর জেলার ইসলামপুরে হিন্দু ধর্মালম্বিদের শারদীয়া দূর্গা পুজা উদযাপিত হচ্ছে। এবার উপজেলায় মোট ২২টি পুজা অনুষ্টিত হচ্ছে।
অন্যান্য বৎসরের তোলনায় এবার উপজেলায় ৩টি পুজা বেশী হয়েছে। মন্ডবগুলো বর্ণিল সাজে সজ্জিত করে মহা ধুমধামে ষষ্টীপুজার মধ্যদিয়ে দেবী বোধনের পর মঙ্গবার চলছে মহা সপ্তমির দিন।
ঢাকে পড়ছে কাঠি,বাজছে কাঁসি,শঙ্খ ধ্বনির,সাথে উলু ধ্বনিতে মুখরিত হচ্ছে মন্ডব গুলো। উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়ছে প্রতিটি মন্ডবে মন্ডেবে। দেবীকে স্বাগত জানিয়ে আরাধনায় ব্যাস্ত সময় পার করছেন ভক্তবৃন্দ। ধূপ-আগরবাতির সুগন্ধিতে মোহিত করে তুলছে মন্ডবের আঙিনা। বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয়া দুর্গা পুজা। পাঁচ দিনের এ উৎসব শেষ হবে শুক্রবার কিন্ত বিজয়া দশমী হয়তো শনিবার প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে এ ধর্মীয় উৎসব সমাপ্ত হবে। এদিকে হিন্দু সম্প্রদায়ের শারদীয় দুর্গাপুজা উদযাপনে সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত আরতী চলাকালে সকল ধর্মের লোকজনের পদচারনায় উৎসবটি যেন সার্বজনীন হয়ে উঠেছে। এ ব্যাপারে ইসলামপুর পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অমুল্য রতন পাল তিনি জানান, উপজেলা ২২টি দুর্গাপুজা ম-প প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার ৩টি পূজা বেশী হয়েছে। তিনি অরো বলেন হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তাহীনতার শংকা এখন পর্যন্ত নেই বলে জানান।
এ বিষয়ে ইসলামপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) আসলাম হোসেন বলেন,পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিন স্তরের নিরাপত্তা দেওয়ার হয়েছে। এছাড়া সর্বক্ষনিক ভাবে কঠোর নজর দারীতে রয়েছে বলে জানান।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, এবার ইসলামপুর উপজেলায় মোট ২১টি এবং ইসলামপুর উপজেলার সন্নিকটে মেলান্দহ উপজেলার ছিটমহল চাড়িয়া এলাকায় ১টি মোট ২২টি পুজা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। প্রতিটি পুজা কমটিতে ৫শ কেজি করে চাল সরকারী ভাবে বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। তিনি আরো জানান,এবার পূজায় কোনরুপ সঙ্কা নেই। তিনি আরো বলেন স্থানীয় প্রসাশনের কঠোর নজর দারী রয়েছে।