স্টাফ করসপনডেন্ট,
জামালপুরের মেলান্দহে প্রকাশ্যে কুপিয়ে প্রবাসীসহ আহত ৫ জনকে আহত করা হয়। পাঁচ দিন পর আহতদের মধ্যে ২৮ আগস্ট বিকেলে মুসলিম মন্ডল (৫২) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ৩০ আগস্ট সকাল ৯টায় মুসলিম মন্ডলের লাশ দাফন হবে বলে পারিবারিক সূত্র জানিয়েছেন।
জানাগেছে, ২৪ আগস্ট জুমার নামাজের সময় ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের আমির্ত্তী গ্রামের রফিকুল ইসলাম (৪০) দুবাই থেকে গ্রামের বাড়িতে আসেন। সাথে ছিলেন রফিকুলের দুই ছেলে মোখলেসুর রহমান (১৮) এবং মোহন মিয়া (১৯)। পুর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রবাসী রফিকুলের প্রতিবেশি মিঠু (২৫), রবিউল ইসলাম (৩২), আইয়ুব আলী বাবু (১৮), মানিক মিয়া (২৬), রবিন (১৮), বাদশা (৪০), হোসেন আলী (৪৫) সহ আরো ৫/৬ জন রাস্তায় উৎপেতে থাকে। মিঠুর বাড়ির সামান দিয়ে যাবার পথে তার এলোপাথাড়িভাবে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। খবর পেয়ে প্রবাসী রফিকুলের স্বজন আমজাদ হোসেন (৩২), মুসলিম মন্ডল (৫২) এগিয়ে আসলে তাদেরও কুপিয়ে আহত করে। মুমুর্ষু অবস্থায় আহতদেরকে জামালপুর হাসপাতালে ভর্তি করে। আশংকাজনক অবস্থায় মুসলিম মন্ডলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তিনি ২৮ আগষ্ট মঙ্গলবার মারা যান।
এ ব্যাপারে ২৫ আগস্ট মুসলিমের ভাই গোলাম মোস্তফা বাদি হয়ে মেলান্দহ থানায় এজাহার দায়ের করেন। ওসি গাজী সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ২৮ আগস্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে।