বিশেষ প্রতিনিধিঃ জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলায় বৃদ্ধা শাশুড়ি বানু বেওয়ার (৭০) কে গলা কেটে হত্যা করেছে মেয়ের জামাই। এ ঘটনায় জামাই রফিকুল ইসলাম ওরফে ভান্ডারি দিপুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ভান্ডারি দিপু, মেলান্দহ উপজেলার ফুলকোচা ইউনিয়নের দিলালেরপাড়া গ্রামের মৃত মোজাফফর মন্ডলের ছেলে।
২৮ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুরে ওই বাগানের পাশের ডোবা থেকে বৃদ্ধার খণ্ডিত মাথাটিও উদ্ধার করা হয়েছে।
২৮ আগস্ট বিকেলে নিহত বৃদ্ধার ছোট মেয়ের জামাই জেলার মেলান্দহ উপজেলার ফুলকোচা ইউনিয়নের দিলালেরপাড়া গ্রামের মৃত মোজাফফর মন্ডলের ছেলে ঘাতক রফিকুল ইসলাম ওরফে ভান্ডারি দিপুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহত বানু বেওয়ার বড় মেয়ে কমলা বেগম বাদী হয়ে রফিকুল ইসলামসহ অজ্ঞাত তিন-চারজনকে আসামি করে ২৮ আগস্ট মাদারগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
পারিবারিক বরাত দিয়ে মাদারগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আসাদ আলী জানান, নিহত ভানু বেওয়া জামালপুর সদর উপজেলার ইটাইল গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী। তার ছোট মেয়ে হোসনা বেগমের শ্বশুরবাড়ি জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার ফুলকোচা ইউনিয়নের দিলালেরপাড়া গ্রামে। হোসনা বেগমের স্বামী রফিকুল ইসলাম ওরফে ভান্ডারি দিপু শাশুড়ি ভানু বেওয়াকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ২৬ আগস্ট দিলালেরপাড়ায় তার বাড়িতে নিয়ে আসেন। ২৬ আগস্ট রাত থেকেই ভানু বেওয়া নিখোঁজ হন। ২৭ আগস্ট রাত আটটার দিকে পুলিশ জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের একটি সেতুর পশ্চিম পাশের শুক্কুর আলীর বনজ গাছের বাগান থেকে ভানু বেওয়ার মাথাবিহীন লাশ উদ্ধার করলে তাকে হত্যার বিষয়টি জানাজানি হয়। ২৮ আগস্ট সকালে পুলিশ ওই বাগানের কাছেই একটি ডোবা থেকে বৃদ্ধার খণ্ডিত মাথাটিও উদ্ধার করেছে।
এদিকে শাশুড়ির ঘাতক রফিকুল ইসলাম মাদারগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে এ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে ফোন করে।
মাদারগঞ্জ সার্কেলের এসএসপি সামিউল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ওই ফোনের সূত্র ধরে ২৮ আগস্ট বিকেলে মাদারগঞ্জ উপজেলার কড়ইচূড়া ইউনিয়নের গুজামানিকা স্কুলের পাশে একটি বাড়ি থেকে ঘাতক রফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রফিকুল ইসলাম তার স্ত্রী হোসনা বেগমের পরকিয়া প্রেমের বিষয়ে তার শাশুড়িকে জানানোর পরও কোনো প্রতিকার না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি শাশুড়িকে হত্যা করেছেন বলে স্বীকারুক্তি দিয়েছেন।