বিশেষ প্রতিনিধিঃ জামালপুরের বকশীগঞ্জের উপর দেওয়া বয়ে যাওয়া কাল বৈশাখী ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
কাল বৈশাখী ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে নিলক্ষিয়া, সাধুরপারা, বকশীগঞ্জ পৌর এলাকা ও মেরুরচর ইউনিয়নের চলতি বুরো মৌসুমের প্রায় ৮০শতাংশ ধান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
মাঝপাড়া এলাকার কৃষক মোস্তুফা কামাল টিটন বাংলানিউজকে জানান, আমার প্রায় ৩ একর জমির ধান নষ্ট হয়েছে। প্রতি একরে ৫০ মন করে ধান উৎপাদন হলেও এখন সেগুলোতে ৫০কেজি হবে কি না সন্দেহ রয়েছে।
অপর কৃষক নুরুল আমিন ফুরকান জানান, আমার প্রায় ৫ একর জমির ধান শিলা বৃষ্টিতে প্রায় পুরোটাই নষ্ট হয়েছে। শিলাবৃষ্টিতে নষ্ট হওয়ার ফলে এগুলো শ্রমিক দিয়ে কাটলে শ্রমিকের মজুরীও উঠবে না।
বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু হাসান সিদ্দিক জানান, বকশীগঞ্জ উপজেলার ২৫ এপ্রিল ভোরে ঘটে বয়ে যাওয়া কাল বৈশাখী ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে চলতি মৌসুমের ধানে ব্যাপক ক্ষতি হয়। এতে উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের প্রায় ৮০ভাগ ধানই নষ্ট হয়েছে। বিশেষ করে বিআর-২৮ ধানে ক্ষতির পরিমানটা অনেক বেশি।
ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসককে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে বলেও উপজেলা নির্বাহী আফিসার জানান।
এ দিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে অত্র এলাকার কৃষকরা হয়েছে দিশাহারা। একদিকে ব্লাষ্ট রোগে অক্রান্ত হয়ে বেশ কিছু জমির ধান নষ্ট হয়ে, অপরদিকে শিলাতেও ব্যাপক ক্ষতি হয়।
বকশীগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসরণ অফিসার আব্দুল হামিদ জানান, বকশীগঞ্জে ১২ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে ইরি ব্যুারো আবাদ করা হয়েছে। শিলা বৃষ্টিতে প্রায় ৫০০ হেক্টর জমির ধান ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছে। বিশেষ করে বকশীগঞ্জ পৌর ও সদর এলাকায় শিলা বৃষ্টিতে ক্ষতির পরিমানটা বেশি।