বিশেষ প্রতিনিধিঃ বকশীগঞ্জের প্রতিবন্দি নিয়ে ভয়ংকর ও উদ্বেগজনক তথ্য দিলেন উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মোঃ মিনহাজ উদ্দিন।
তিনি জানান, এভাবে চলতে থাকলে আগামী ৩২ বছর পর জনগ্রহনকারী শিশুদের মধ্যে শতকরা ৫০ভাগই প্রতিবন্দি হয়ে জন্ম নিবে।
এ বিষয়ে তিনি এক গবেষনার জরিপের কথাও উল্লেখ করে তিনি। এ তথ্য শুধু বকশীগঞ্জেরই নয় সারা বাংলাদেশের।
২০১৬ সালে বকশীগঞ্জ সমাজ সেবা কার্যালয়ে যোগ দেওয়া এ কর্মকর্তা আরও জানান, অন্যান্য উপজেলার তুলনায় বকশীগঞ্জে প্রতিবন্দির সংখ্যা অনেক বেশি।
তিনি জানান, সমাজ সেবা কার্যালয় থেকে এ পর্যন্ত ১ হাজার ২৫৮জন প্রতিবন্দি ভাতা পেয়ে থাকেন। এবং বিভিন্ন জরিপে আরও ৩ হাজার ৬০০ প্রতিবন্দি রয়েছে। এরা ভাতা পান না। দিন দিন প্রতিবন্দির সংখ্যাও আশংকাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কি কারণে প্রতিবন্দি বৃদ্ধি পাচ্ছে এ প্রশ্নের উত্তরে মিঃ মিনহাজ জানান, আবহাওয়া, পুষ্টিজনিত কারন ও ভেজাল খাদ্যের পাশাপাশি জন সচেতনা শিশু প্রতিবন্দি হওয়ার অন্যতম কারণ।
শিশু গর্ভস্থায় মায়ের যত্ন নিলে এ প্রতিবন্দি শিশুর সংখ্যা অনেক কমে যাবে বলেও তিনি জানান।
এর মধ্যে নিলক্ষিয়া বুদ্ধি প্রতিবন্দি স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মমিনও যোগ দেন আলাপচারিতায়।
তিনি জানান, প্রতিবন্দিদের মধ্যে বেশির ভাগই স্কুলে পড়াশোনা করানো সম্ভব হয় না। প্রতিবন্দিতের ক্যাটাগরি অনুযায়ী স্কুলে ভর্তি করানো হয়ে থাকে।পড়াশোনা করানোর উপযুগি প্রতিবন্দি শিশুর সংখ্যা শিশুর সংখ্যা ২০০ থেকে ২৫০জন। যাদের আমরা প্রতিবন্দি না বলে বিশেষ শিশু হিসাবে অখ্যায়িত করে থাকি।