গোলাম রাব্বানী নাদিমঃ নাম তার ভগচুদো, বাজারের মাঝ খানেই তার দোকান। পেশা পুঁরি বিক্রেতা। পুরি কিনতে লম্বা লাইনে মানুষের ভীর। পুঁরি তৈরীর আগেই পুঁরি শেষ হয়ে যায়।
কেন এত ভীর? কেনই বা এত চাহিদা?। জিজ্ঞাসা করলাম এক পুঁরি ক্রেতার কাছে? সোজা সাপ্টা উত্তর, ভগচোদুর পুঁরি নাকি সু-স্বাদু।
হাতের কাছেই পুঁরি, আর হাতের কাছেই ভগচোদু। তাই পুঁরির স্বাদ তো পরীক্ষা করতেই হয়। সাংবাদিক দেখেই একটু বিব্রত। বুকে হাত দিয়ে ভগচোদু বললেন, মামু, তৈল এক নম্বর, আটা এক নম্বর, ডালও এক নম্বর। কোন ঘুরচক্কর নেই।
ভগচুদোর কথার সাথে যেন, বাস্তবতার শতভাগ মিল কিনা তা যাচাই করার পালা। পুরি তৈরীর আগে আটা ও তৈল পরীক্ষা করে পাওয়া গেল তার কথার সত্যতা।
পুঁরি তৈরীর উপদান গুলোর মধ্যে আটা, ডাল ও তৈল। সেগুলো নিজের হাতে মান সম্মতভাবে বাজার থেকে ক্রয় করেন বলেও জানান তিনি।
ডাল হিসাবে ফেসারী ডালই পুঁরি তৈরীর জন্য উত্তম।
তার সু-স্বাদু পুঁরি সারা বকশীগঞ্জ রসনা বিলাসী মানুষের মনজয় করে এখন দুর-দুরান্ত মানুষ এসেও নিয়ে যায়।
দৈনিক ১ হাজার থেকে দেড় হাজার টাকার পুঁরি বিক্রি করেন ভগচুদো। এতে খরচ বাদে প্রায় ৫শ থেকে ৮ শত টাকা লাভ হয়। তবে সপ্তাহের ২দিন বৃহস্পতিবার ও রবিবার বেচাকেনার পরিমান বেশি। এদিন ২ হাজার টাকার বেশি বিক্রি হয়। লাভের পরিমানও হাজার ছুঁয়ে যায়।
ভগচোদুর ৭ পরিবারের সংসার। ২ মেয়ে ও ১ ছেলে বিয়ে দিয়েছেন। সংসারে আছে ১ মেয়ে, সে নবম শ্রেনীতে পড়াশোনা করে। সংসারে থাকা আরেক ছেলে পড়াশোনা বাদ দিয়ে বাবার পুঁরি বানানো ব্যবসায় মাঝে মাধ্যেই সহযোগিতা করে।
বাজারের মাঝ খানেই সবার চোখের সামনেই তিনি পুঁরি তৈরী করেন। এখানে কোন রাখঢাক নেই। শুধু আছে বিশ্বস্ততা।
ভগচোদু জানান, সৎভাবে ব্যবসা করলে সব জায়গাতে লাভবান হওয়া যায়, মানসিকভাবে শান্তিও পাওয়া যায়। অসৎ ব্যবসার লাভ যদিও বেশি কিন্তু সংসারে শান্তি দিতে পারে না।