বিশেষ প্রতিনিধিঃ সুষ্ঠু ও নিরেপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে ১০জন কাউন্সিলর প্রার্থী নির্বাচিত হয়েও দীর্ঘদিনেও নামের গেজেট প্রকাশিত হচ্ছে না । ফলে তারা সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডেও অংশ নিতে পারছে না।
গত ২৮ ডিসেম্বর বকশীগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে মালিরচর হাজী পাড়া কেন্দ্র ব্যতিত সকল কয়টি কেন্দ্রই সুষ্ঠু ও নিরেপেক্ষ ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে ৮টি ওয়ার্ডের ৮ জন কাউন্সিলর ও ২জন মহিলা কাউন্সিলর বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন পরেও এদের নাম গেজেট ভুক্ত হচ্ছে না। এতে করে তারা সরকারের উন্নয়ন মুলক কর্মকান্ডেও অংশ নিতে পারছে না।
এ প্রসঙ্গে ৪নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত কাউন্সিলর শাহীনুর রহমান জানান, ৭৮ভাগ লোক ভোটাধীকার প্রয়োগের করে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ওয়ার্ডের সাধারন সদস্য পদে আমাকে নির্বাচিত করে। এ কেন্দ্রে ভোট গ্রহন নিয়ে কোন ধরনের অভিযোগ নেই। আমার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর আমার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই। তার পরেও আমার নাম কেন গেজেটে তালিকা ভুক্ত হচ্ছে না বুঝতে পারছি না।
৩নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত কাউন্সিলর আক্তার হোসেন জানান, আমার এলাকার শতকরা ৮৭ ভাগ লোক তাদের ভোটাধীকার প্রয়োগ করে। সুষ্ঠু ও নিরেপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগনের ভোটে আমি নির্বাচিত হয়েও এখন আমরা জনগণের কাছে যেতে পারছি না। আমাদের কি অপরাধ? আমাদেরকে কেন গেজেট ভুক্ত করা হচ্ছে না? দ্রুত গেজেট ও শপথ গ্রহনের মাধ্যমে জনগনের সুযোগ করে দেওয়ার দাবী করেন এই জনপ্রতিনিধি।
২ নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত কাউন্সিলর মিজানুর রহমান জানান, আমার কেন্দ্রে মালিরচর মন্ডলপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, এ কেন্দ্রে ৮২% লোক তাদের ভোটাধীকার প্রয়োগ করে। আমার এলাকাটি চরম অবহেলিত, এখানে কোন উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি। সাধারণ মানুষ খুব আশা নিয়ে আমাকে নির্বাচিত করেছে কিন্তু আমি জনগনের ভোটে নির্বাচিত হয়েও জনগণের কোন সেবা করতে পারছি না।
৮নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত কাউন্সিলর মোঃ আব্দুল্লাহ জানান, ৮০ভাগ লোক তাদের ভোটধীকার প্রয়োগের মাধ্যমে আমাকে নির্বাচিত করে। সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা নির্বাচিত হয়েছে। আমাদের জনগণের সেবা করা সুযোগ করে দিন।
৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিল ও আওয়ামীলীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুর আওয়ামীলীগ করি। আমার কেন্দ্রে অত্যন্তু সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। আমার কেন্দ্রে ৮০ভাগ লোক তাদের ভোটাধীকার প্রয়োগ করে। জনগণ আশা করে আমাকে কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত করেছে কিন্তু দীর্ঘদিন পরেও আমাদেরকে ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। আমরা জনগনের কাছে যেতে পারি না। দ্রুত গেজেট ও দায়িত্ব দিয়ে জনগনের সেবা করার সুযোগ দিন।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ ডিসেম্বর বকশীগঞ্জ বকশীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে প্রায় ৮২ভাগ ভোটার তাদের ভোটারাধীকার প্রয়োগ করে।
এর আগে ২০১৩ সালে পৌরসভা গঠিত হওয়ার পর র্দীঘ ৫ বছর পর প্রথমবারের মত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ইউনিয়ন ও পৌরসভার সীমান্ত জটিলায় পৌর এলাকায় ছিল উন্নয়ন বঞ্চিত। দ্রুত পৌরসভা নির্বাচনে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা প্রদানের মাধ্যমে দেশের মুল উন্নয়নের সাথে সংযুক্ত হওয়ার আশা করছে পৌরবাসী।