সাপ্তাহিক বকশীগঞ্জ ডেস্ক ঃ বকশীগঞ্জে ভূয়া তালাক নামা দেখিয়ে সৎ মায়ের সম্পত্তি আত্মসাতের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মেরুরচর ইউনিয়নের শেখের চর বেতমারী গ্রামে। এই ঘটনায় সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে ন্যায় বিচারের আশায় ভূয়া তালাক নামা তৈরি কারীর হোতা নিকাহ্ রেজিষ্টার ও বিমাতা ভাইদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার বাদী ওই বিধবার ছেলে মিজানুর রহমান খানঁ।
মামলা সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার মেরুরচর ইউনিয়নের শেখের চর বেতমারী গ্রামের জহুর আলী খান দুইটি বিয়ে করেন। জহুর আলী খানের প্রথম স্ত্রীর সন্তান মো. আলতাব খান,মো.মিষ্টার খান ও ফরিদুজ্জামান খান। দ্বিতীয় স্ত্রী সুখজান বেওয়ার এক সন্তান মিজানুর রহমান খান। বার্ধক্যজনিত কারনে গত ২০১০ সালের ১৩ জুলাই জহুর আলী খান মারা যান। এরপর থেকেই জহুর আলী খানের প্রথম স্ত্রীর সন্তান মো.আলতাব খান,মো.মিষ্টার খান ও ফরিদুজ্জামান খানঁগংরা বিমাতা মা সুখজান বেওয়া ও বিমাতা ভাই মিজানুর রহমান খানকে পৈতিক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার অপচেষ্টা করতে থাকে। এই নিয়ে একাধিকবার গ্রাম্য সালিশ বৈঠক হয়। সালিশ বৈঠকে উপস্থিত না হয়ে আলতাব খানঁ,মো.মিষ্টার খানঁ ও ফরিদুজ্জামান খান গংরা সৎ মা ও ভাইকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদের পায়তারা করতে থাকে। কোন ভাবেই তাদের উচ্ছেদ করতে না পেরে জালিয়াতির আশ্রয় নেয় তারা। জালিয়াতির অংশ হিসেবে শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি উপজেলার ১ নং কাংশা ইউনিয়নের নিকাহ্ রেজিষ্টার খন্দকার আতিকুর রহমানের যোগসাজসে (৩১.১২.২০০৩ ইং তারিখে)বিমাতা মায়ের একটি তালাক নামা তৈরি করে। তালাক নামায় জহুর আলী খান মারা যাওয়ার প্রায় ৭ বছর আগের তারিখ দেখানো হয়। এই ভূয়া তালাক নামা দেখিয়েই বিমাতা মাকে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন আলতাব খানঁ,মো.মিষ্টার খানঁ ও ফরিদুজ্জামান খান গংরা। তাই এই ঘটনায় সুষ্ঠ বিচারের আশায় মিজানুর রহমান বাদী হয়ে চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি বৈমাতা ভাই মো.আলতাব খান,মো.মিষ্টার খান,ফরিদুজ্জামান খানঁ ও নিকাহ্ রেজিষ্টার খন্দকার আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধে জামালপুর বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন।