জামালপুর প্রতিনিধিঃ জামালপুরে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে নাজিম উদ্দিন শিকদার(৫৯) নামের এক সরকারী কর্মচারীর মৃত্যু হয়েছে।
তবে হৃদযন্ত্রের ক্রীয়া বন্ধ হয়ে মারা যাওয়ার কারন দাবি গোয়েন্দা পুলিশের। এদিকে নিহতের পরিবারের দাবি ডিবি পুলিশী নির্যাতনে নাজিম উদ্দিনের মৃত্য হয়েছে।
মৃত নাজিম উদ্দিন শিকাদার টাঙ্গাইলের সদর উপজেলার শালিনা গ্রামের মৃত: আজিমউদ্দিন শিকদারের ছেলে। সে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের প্রসেসর সার্ভার হিসেবে কর্মরত আছেন।
জামালপুর গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সালেমুজ্জামান জানান, সরিষাবাড়ি উপজেলার বয়ড়া বাজার এলাকায় জুয়া খেলা চলছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার রাত ২ টা ৩০ মিনিটে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল অভিযান চালায়। গোয়েন্দা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জুয়াড়িরা দৌড়ে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করলে ১২ জনকে আটক করে। এ সময় নাজিম উদ্দিন দৌড়ে পালিয়ে যাবার সময় পড়ে গিয়ে আহত হয়। স্থানীয়দের সহায়তায় গুরুত্বর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ভোর ৪ টা ৪৫ মিনিটে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ হাসানুল বারী শিশির তাকে মৃত ঘোষনা করে।
মৃত নাজিম উদ্দিনের ছোট ভাই আব্দুল কাদের জানান- শুক্রবার সন্ধ্যা ৭ টায় টাঙ্গাইলের বাসা থেকে জামালপুরে বেড়াতে আসার কথা বলে বের হন। সকালে চাচাতো ভাই সায়েমের কাছ থেকে মোবাইলের মাধ্যমে বড় ভাইয়ের গ্রেফতার হওয়ার খবর পেয়ে তিনি জামালপুরে আসেন। গোয়েন্দা কার্যালয়ে তার ভাই এর খোজ চাইলে আটকের কথা অস্বীকার করেন কর্মকর্তারা। পরবর্তীতে সন্দেহবশত শনিবার বিকালে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে ভাইকে সনাক্ত করেন।
এসময় ভাইয়ের গালে আঘাতের চিহ্ন দেখে অভিযোগ করেন গোয়েন্দা পুলিশের নির্যাতনে নাজিম উদ্দিনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেন। তার ভাই আগে কোনো দিন জুয়া খেলে নিই বলে জানান তিনি। তিনি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, নাজিমউদ্দিনকে কাছাকাছি সরিষাবাড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কেনো নিয়ে যাওয়া হলো না ?
এ অভিযোগের বিষয়ে জামালপুর গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সালেমুজ্জামান জানান–- নাজিমউদ্দিনকে বাচানোর জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিলো। তিনি দৌড়ে পালানোর সময় পড়ে গিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পান। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়েছিলো, সেখানেই সে মারা যায়।