গোলাম রাব্বানী নাদিমঃ বকশীগঞ্জে ৩দিন ব্যাপি উন্নয়ন মেলা শুরু হয়েছে। মেলায় চারিপাশে অনেক মানুষের ভীর। বিভিন্ন স্টলে সামনে অগনিত মানুষের আনাগোনা। অনেকেই ভাবছেন কিছু কিনবেন, কিন্তু না এ মেলায় কোন কিছু কেনাও যায় না আবার বিক্রিও করা যায় না।
পরে পরে ঘুরতে ঘুরতে এক পর্যায়ে পৌছে যাই মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের স্থাপিত স্টলের সামনে। সেখানে সুফিয়া ও আল্পনা নামের দুটি বোখরা পরিহত মেয়ে স্টলের সমানে।
এরা দুজনেই জয়িতা নির্ধারন বিষয়ক একটি প্লেকার্ড সংগ্রহ করছে। তারা দুজনেই এইচএসসি পাশ করে বর্তমানে ন্যাশনাল সার্ভিসএ প্রশিক্ষণ শেষ করেছে। এখন ক্ষনস্থায়ী কর্মক্ষেত্রে ঢোকার অপেক্ষায়। এদের সাথে কথা হলো কিছুক্ষণ। তারা জানালেন, মেলায় এসে ভালই লাগছে। কিন্তু কিছুই কিনতে পারছি না। এ গুলোর পাশাপাশি কিছু কেনাকাটা করা মত অবস্থা থাকলে হয়তো ভাল লাগতো।
বকশীগঞ্জে নির্মিত তাঁতের কাপর, অথবা হস্তশিল্প, শীতের পিঠা থাকলে হয়তো বেশ জমতো এ কথা গুলোই বলেই চলে যান দুজনেই।
এরা চলে যাওয়া পর মহিলা বিষয় অধিদপ্তরে স্থাপিত স্টলের থেকে আওয়াজ ‘‘ভাই চা খান’’। সুমধুর ডাকে না করার সুযোগ নাই। তাই বাধ্য হয়েই চা আমন্ত্রন গ্রহণে বাধ্য।
পরিপাটি ও সন্দুর পরিবেশে চায়ের কাপে চুমুক দেওয়ার ফাঁকে ফাঁকে সাবিনা ইয়াসমিনের সাথে কথা।
তিনি একটানা বলতে লাগলেন, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার অফিস থেকে, মার্তৃত্বভাতা, বিধবা, ভিজিএফসহ অসহায় দরিদ্র মহিলাদের সাহায্য ও সহযোগিতা করে থাকি আমরা।
এছাড়া বাল্য বিয়ে ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধে আমরা সবসময়ই সচেতন। যেখানেই খবর পাই সেখানেই আমরা ছুটে যায়। সাথে কথাগুলো যোগ করলেন মহিলা বিষয়ক অফিসের অফিস সহকারী বাবু সুশান্ত কুমার।
তবে বিস্তারিত তথ্য জানতে চাইলে, মৃদু হাসিতে বলেই ফেললেন, ভাই আজ তো প্রথমদিন পরে আসেন, আমাদের সকল কার্যক্রমের সকল তথ্যই দেওয়া যাবে।
তার সাথে সাথে কথা গুলি বলতে চায়ের কাপে চা শেষ। পরে ছুটলাম অন্য কোন স্টলে..
আমাদের সাথে থাকুন