বকশীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ জমে উঠেছে বকশীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচন। আলোচনার কেন্দ্র বিন্দু থাকার কথা কে হচ্ছেন মেয়র? কিন্তু এসব ছাপিয়ে আলোচনার কেন্দ্র বিন্দু যখন হেনা ।
কে এই হেনা– ছোট নাম হেনা, পুরো নাম আঞ্জমান আরা হেনা। স্বামীর দিকে যদি বলতে হয়, তিনি হ, জামালপুরের অবিভাবকদের মধ্যে অন্যতম, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরীর সহ ধর্মীনি হচ্ছেন আঞ্জুমান আরা হেনা।
যে কারণে হেনাকে নিয়ে আলোচনাঃ বকশীগঞ্জ রাজনৈতিকভাবে সবচেয়ে আলোচিত মুখ হচ্ছেন ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী। দলের চরম বিশৃঙ্খলায় তার সাহসী ভুমিকার কারণে বকশীগঞ্জে অনেক সংঘাত রক্তপাত এড়ানো সম্ভব হয়েছে। শুধু তাই নয়, ফারুক চৌধুরীকে বকশীগঞ্জের মানুষে হৃদয়ের অন্তস্থলে পাকাপোক্ত আসন দখল করে বসে আছেন। সেই আসনে এখন ভাগ বসিয়েছেন তারই সহধর্মীনি হেনা, পুরো নাম আঞ্জুমান আরা হেনা।
ছোটবড় সবার কাছে বকশীগঞ্জ পৌরবাসীর নিকট হেনা ভাবী নামে পরিচিতি লাভ করলেও মায়ের আদর ও বোনের ভালবাসা নিয়ে যাচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। নৌকা প্রতিকে ভোট চাচ্ছেন।
গত ১২ নভেম্বর বকশীগঞ্জ পৌরসভা তপছিল ঘোষনার পর থেকেই তিনি জামালপুর থেকে বকশীগঞ্জ আসছেন।
প্রতিদিনই আসেন। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত আওয়ামীলীগের মনোনিত প্রার্থীর পক্ষে প্রচারনা চালান হেনা।
নৌকার প্রার্থীর পক্ষে প্রচারনা চালাতে চালাতে মানুষের হৃদয় জয় করে ফেলেছেন হেনা ।
জামালপুর থেকে প্রতিদিন প্রায় ৪০/৫০ সদস্যের একটি দল আওয়ামীলীগের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারনা চালাতে বকশীগঞ্জ আসেন, এই দলের মধ্যমনি হচ্ছেন হেনা।
শুধু নৌকার প্রতি ভালবাসার টানে প্রচন্ড ঠান্ডা, স্বামী-সংসার বাদ দিয়ে চালাচ্ছেন নৌকার প্রার্থীর প্রচারনা।
এ বিষয়ে আঞ্জুমান আরা হেনা জানান, আমার স্বামী সহ আমরা সবাই আওয়ামীলীগের সাথে জড়িত। এছাড়া আমি আওয়ামীলীগ ও নৌকাকে মনে প্রাণে ভালবাসি। নৌকা ও বকশীগঞ্জের মানুষের টানে বারবার ছুটে যাই সেখানে।
তিনি আরও বলেন, বকশীগঞ্জের মানুষ অত্যন্ত ভাল। গত জেলা পরিষদ নির্বাচনে বকশীগঞ্জে গিয়েছিলাম। সেখানেও তারা আমাকে বোনের মত শ্রদ্ধা ভক্তি করেছে। আমাদেরকে ভোট দিয়েছে। আমি আশা করছি এবারও বকশীগঞ্জের মানুষ আমাদের কথা রাখবে।
হুংকার দিয়ে ভোট চান না তিনি, মায়ের আদর ও বোনের ভালবাসা দিয়ে জয় করেছেন বকশীগঞ্জ পৌরবাসীর হৃদয়।