ভুয়া মুক্তিযোদ্ধারা রাষ্ট্রীয় সম্মানসহ সব সুযোগ-সুবিধা নেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে এবার বীর খেতাব বর্জন করেছেন জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার চরগাবের গ্রামের যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম আজাদ।
১১নং সেক্টরের এই বীর মুক্তিযোদ্ধা তার ‘বীর’ খেতাব বর্জনের ঘোষণা দিয়ে বুধবার প্রধানমন্ত্রী বরাবর রাষ্ট্রীয় ডাকে আবেদনপত্র পাঠিয়েছেন।
যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা জানান, ৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে জীবন বাজি রেখে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন।
প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় ভাতা, রাষ্ট্রীয় মর্যাদা, সন্তান-নাতি-পুতির কোটায় চাকরিসহ নানা সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছেন। এ সুযোগ নিতে এক শ্রেণির মুক্তিযোদ্ধা, জামুকা ও মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক মন্ত্রণালয়সহ রাঘব বোয়ালরা অর্থের বিনিময়ে অমুক্তিযোদ্ধাদের মুক্তিযোদ্ধা বানাচ্ছে। এতে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধারা রাষ্ট্রীয় সম্মানসহ সব সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছে।
তিনি আরও জানান, এসব কারণে মৃত্যুর পর তাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে গার্ড অব অনার প্রদান না করার অনুরোধ জানিয়ে ২০১৬ সালের ১৭ জুলাই জামালপুরের তৎকালীন জেলা প্রশাসক ও মাদারগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেছিলেন।
জামালপুরের জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীর জানান, তিনি এ ধরনের কোনো আবেদনপত্র এখনও হাতে পাননি।
উল্লেখ্য ১২ ডিসেম্বর জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার ফুলছেন্না গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল হোসেন তার ‘বীর’ উপাধি বর্জন করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পত্র দেন।