বিশেষ প্রতিনিধি ঃ মুক্তিযোদ্ধাদের আপত্তির মুখে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবু সায়েমের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে যাওয়া হল না।১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে প্রশাসনের উদ্যোগ ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতেই মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে কোন জনপ্রতিনিধি, উপজেলা আওয়ামীলীগ, জাতিয়পাটির কোন নেতাকর্মী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিতি হতে দেখা যায়নি।
১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উৎযাপনের অংশ হিসাবে প্রতিবছরই মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেয় স্থানীয় প্রশাসন।এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকেন উপজেলা চেয়ারম্যান। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকেন খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানরাসহ স্থানীয় রাজনৈতিক দল ও ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দরা।
কিন্তু এবারের মহান বিজয় দিবসে পতাকা উত্তোলনের সময় উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ তালুকদার ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নুর মোহাম্মদ উপস্থিত থাকেন। পাতাকা উত্তোলনের শেষে উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ তালুকদার অসুস্থ্যতার জন্য অনুষ্ঠান স্থল ত্যাগ করেন। এদিকে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নুর মোহাম্মদও চলতি বকশীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে প্রচারনা কাজে অংশ নেওয়ার জন্য সংবর্ধনাস্থল ত্যাগ করেন।
পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু হাসানের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম হোসেন, খেতাব প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম বীর প্রতিক, বশির আহাম্মেদ বীর প্রতিক, জহুরুল হক মুন্সী বীর প্রতিক, সাবেক কমান্ডার মফিজ উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা অফসার আলী, মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মওলাসহ অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে শেষে দিকে সংবর্ধনা জামালপুর জেলা আওয়ামীলীগের শিল্প ও বণিক বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ মেডিসিন যোগ দেন।
জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের অনুপস্থিতি অনেক মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে কানাঘুসা শুরু হয়।এর মুল কারণ খোজতে থাকেন মুক্তিযোদ্ধরা।
পরে জানা যায়, গত ৪ ডিসেম্বর কামালপুর মুক্তদিবসে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার মফিজ উদ্দিন ঘোষনা দেন যে, মুক্তিযোদ্ধাকে বিষাদাগারকারী কোন জনপ্রতিনিধি সংবর্ধনা মঞ্চে উপস্থিত থাকলে সকল মুক্তিযোদ্ধারা সংবর্ধনা অনুষ্ঠান বয়কট করবে।
এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা আফসার আলীও জানান, আমাদের দাবী ছিল উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবু সায়েম সংবর্ধনা মঞ্চে উপস্থিত থাকলে মুক্তিযোদ্ধরা সম্বর্ধনা অনুষ্ঠান বয়কট করবে।আমাদের দাবী ছিল শুধু মাত্র উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবু সায়েম।অন্যদের ক্ষেত্রে কোন নিষেধ ছিলনা।
উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবু সায়েম বলেন, আমাকে রাতেই উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ তালুকদার সংবর্ধনা অনুষ্ঠাতে যেতে নিষেধ করেছে । তিনি হলেন আমাদের অভিভাবক। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে তার কথা রাখা আমার দায়িত্ব ও কর্তব্য।সে কারণে আমি সংবর্ধনা ও বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে যায়নি।
এ বিষয়ে বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসান সিদ্দিক বলেন, সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে কারো আসার বিধি নিষেধ ছিল না, হয়তো সময়ের অভাবে কেউ আসেনি।