স্টাফ রিপোর্টারঃ আসছে ২৮ ডিসেম্বর বকশীগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচন। দলীয়ভাবে নির্বাচিত হওয়ায় এ নির্বাচনে আওয়ামীলীগমনা ৪জন প্রার্থী অংশ নিচ্ছে।
এর মধ্যে শহিনা বেগমের মনোনয়ন দল থেকে নির্ধারিত হয়েছে।
ব্যাপক জনপ্রিয়তা থাকা স্বত্ত্বেও আওয়ামীলীগের সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধা জানিয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ইসমাইল হোসেন বাবুল তালুকদার নির্বাচন থেকে সরে আসলেও পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম সওদাগর, তাতী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন তালুকদার বাহাদুর ও সদস্য এম নুরুজ্জামান রয়েছেন মাঠে।
বিদ্রোহীদের মধ্য নজরুল ইসলাম সওদাগর বেশ আলোচিত প্রার্থী।
জনসমর্থনের বর্তমানে শীর্ষ বিন্দুতে অবস্থান করছেন নজরুল ইসলাম সওদাগর।
এ অবস্থায় নির্বাচন হলে দলীয় প্রার্থীকে টপকে মুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বিএনপি মনোনিত প্রার্থী ফখরুজ্জামান বনাম নজরুল সওদাগরের মধ্যে।
আওয়ামীলীগ ও বিএনপির অভ্যন্তরিন কোন্দলের কারণে প্রথমবারের মত মেয়রের চাবি নজরুলের হতে উঠলে অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না।
অপরদিকে অপর প্রার্থী আনোয়ার হোসেন বাহাদুরও নিজ বাসাবাড়ী বিক্রি করে নির্বাচনের মাঠে রয়েছেন । এই মুর্হত্বে তাকে পিছনোর সুযোগ নেই বলে তিনি ও তার সমর্থকরা জানান।
অপর প্রার্থী আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক এম. নুরুজ্জামান আওয়ামীলীগেরর মনোনয়ন চেয়ে ব্যর্থ হয়ে তিনিও মাঠে রয়েছেন।
নির্বাচনে আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থীর জয়পরাজয়ে গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা রাখবেন এই নুরুজ্জামান।
আপাতদৃষ্টিতে বিএনপি প্রার্থী ফখরুজ্জামান মতিনের বিরুদ্ধে প্রার্থী না থাকলেও দলের অভ্যন্তরিন কোন্দল রয়েছে ব্যাপক। এই নির্বাচন বিএনপির দুই শক্তিধর পুলিশের সাবেক আইজিপি আব্দুল কাইয়ুম ও সাবেক এমপি এম. রশিদুজ্জামান মিল্লাতের প্রেস্টিজ ইস্যূতে পরিনত হয়েছে।
বিএনপির বড় একটা অংশ বর্তমানে বিএনপির সাথে না থাকায় বেশ বেকায়দায়তে রয়েছেন বিএনপির প্রার্থী ফখরুজ্জামান মতিন।