বিশেষ প্রতিনিধিঃ বকশীগঞ্জ পৌর নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে ব্যাপক শো ডাউন করেছে। এ সময় প্রায় ৪ শতাধিক মোটরসাইকেল অংশ নেয়।
দু পাশে শত শত মানুষ তাকে অভিনন্দন জানান
মোটর সাইকেল শো-ডাউন পুরো বকশীগঞ্জ পৌর এলাকা প্রদর্শণ করে।
বকশীগঞ্জ পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক হিসাবে যোগদানের পর থেকে তিনি সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডে অংশ নেন। এছাড়া তিনি তার ব্যক্তিগত ভাবে বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন অনুদান দীর্ঘদিন থেকে প্রদান করে আসছেন। তরুন সমাজ সেবক হিসাবে তরুণ ও যুব সম্প্রদায়ের নিকট নজরুল ভাই হিসাবে ব্যাপক ভাবে পরিচিত।
ব্যবসায়ী হিসাবে তিনি অত্যন্ত পরিচিত মুখ। গাড়ী ব্যবসায় তিনি সব সময় মানুষের আপদে বিপদে এগিয়ে এসে নিরলশভাবে সমস্যা সমধান করে থাকেন।
বকশীগঞ্জ কমিউনিটি পুলিশিং এর সাধারন সম্পাদক হিসাবে এলাকায় জুয়া, মাদক ও বাল্য বিবাহ বন্ধে অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা পালন কারী এ নেতা বলেন, আমি রাজনীতি করি দলের জন্য নয়, আমার রাজনীতির মুলমন্ত্রই হচ্ছে জনগনের কল্যাণে। এ ক্ষেত্রে দল যদি সহযোগিতা করে তবে ভাল, যদি সহযোগিতা না করে আমার নৈতিকতাবোধ থেকে একা একা করে যাব।
এদিকে নজরুল সওদাগরের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করার ঘোষনায় ভোটের হিসাবে ওলট পালট হয়ে গেছে। আওয়ামীলীগ ও বিএনপি উভয় দলের মধ্যেই রয়েছে অভ্যন্তরিণ কোন্দল। এ কোন্দলের কারণে উভয় দলের প্রার্থীই রয়েছে বিব্রতকর অবস্থায়।
এ অবস্থা চলতে থাকলে বকশীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে ত্রিমুখী লড়াই হবে। জয় পরাজয় নির্ধারন হবে খুব অল্প ভোটের ব্যাবধানে।
নজরুল ইসলাম সওদাগরের সমর্থকরা জনান, আওয়ামীলীগের কোন্দলের কারণে তারা কখনও বিএনপি প্রার্থীকে ভোট দিবে না, অনুরূপ বিএনপির কোন্দলেও তারা আওয়ামীলীগের প্রার্থীকে ভোট দিবে না। এক্ষেত্রে নজরুল সওদাগরই উভয় দলের একমাত্র প্রার্থী হিসাবে বেছে নিবেন।
এ ক্ষেত্রে প্রথম মেয়র হিসাবে নজরুল সওদাগর জয়ী হলে অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না।