ভুতের গলি থেকে গোলাম রাব্বানী নাদিম ঃ
বকশীগঞ্জ পৌর শহরের উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বিজয়ের বাসভবনের মোড় থেকে শুরু হয়ে উপজেলা জামে মসজিদের সম্মুখ পর্যন্ত রাস্তার নাম করণ হয়েছে ভুতের গলি হিসাবে।
বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় থেকে মাত্র ২০০ ফিট দুর থেকে শুরু হয়েছে ভুতের গলির যাত্রা শুরু।
এ রাস্তার দু পার্শ্বে প্রায় শতাধিক উচ্চ শিক্ষিত পরিবারের লোকজন বাসবাস করেন। যাদের বেশির ভাগই উন্নত জীবনের আশায় বকশীগঞ্জ বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রাম থেকে এসে বসতি গড়েছেন ।
কিন্তু এই স্বপ্নে গুড়েবালি। একদিন বৃষ্টি হলেই ১৫দিন চলাচলের অনুপোযুগি হয়ে থাকে রাস্তাটি।
হাটু পারিমান পানি, আর চোখের পানিতে ভাসছে এই রাস্তার দুই পার্শ্বের মানুষ।
বৃষ্টির পানি সাথে ভাসে মানুষের মল। অনেক পরিবার জমি-বাসা বিক্রি করে অন্যত্র স্থানে বাড়ী করেছেন।
অথচ বকশীগঞ্জে আবাসিক এলাকা বলতে এই রাস্তার আসে পাশের স্থানকেই বোঝায়। কিন্তু এই রাস্তার বেহাল অবস্থার কারণে ভুতের গুলি হিসাবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে।
সাধুরপাড়া থেকে এসে বসতি গড়া আবু তালেব জানান, দুটি ছেলে মেয়ে পড়াশোনা করানোর জন্য এখানে বাসা করেছি। কিন্তু এখানে কোন স্বাভাবিক মানুষ বাস করতে পারে না। তাই বাধ্য হয়েই ফিরে যাচ্ছি নিজ গ্রামে।
অপর বাসিন্দা জয়নাল আবেদীন বলেন, এখানে কোন মানুষ বাস করার মত উপযুগি নয়। একটু বৃষ্টি হলেই হাটু পরিমান পানি জমে যায়।
এই এলাকার বাসিন্দা সোরহাব আলী আক্ষেপ করে বলেন, উন্নয়নের জোয়ারে কারণে আজ এই রাস্তার এই অবস্থা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সরকারী দলের নেতারা, স্থানীয় প্রশাসন আমাদের মানুষ মনে করে না। আমাদের তারা সবাই ভুত মনে করে। আমরা প্রত্যেকেই একটি করে ভুত। তাই এটি এখন ভুতের গলি হয়ে গেছে। এখানে ভুতেরা বাস করে। পানির সাথে আমরা ভুতেরা খেলা করি।
এই বিষয়ে বকশীগঞ্জ পৌরসভার সচিব নুরুল আমিন জানান, রাস্তার দুই পার্শ্বে মাটি উচু করায় জমিতে থেকে এই রাস্তাটি নিচু। ফলে একটু বৃষ্টি হলেই পানি জমে যায়।
রাস্তাটি উন্নয়ন কল্পে একাধিকবার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের অসহযোগিতার কারণে উন্নয়ণ সম্ভব না।
তিনি আরও জানান, এই রাস্তাটি উন্নয়ন করতে হলেও আরও ৬ ফিট পরিমান প্রস্থস্ত করতে হবে। কিন্তু কেউ নিজের জমি ছেড়ে দিয়ে চায় না। ফলে এই রাস্তায় উন্নয়ন করা সম্ভবও নয়।