বকশীগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রবাজ গ্রামের আ. কদ্দুছ মিয়া হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটিত হয়েছে। দীর্ঘ আট বছর পর জামালপুর সিআইডির তদন্তে বেরিয়ে এসেছে আলোচিত ওই হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত ঘটনা। এতেই ফেঁসে গেছে মামলার বাদী ও নিহত কদ্দুছ মিয়ার ছেলে বিপুল মিয়া। রোববার রাতে চন্দ্রবাজ গ্রামের বাড়ি থেকে ঘাতক বিপুল মিয়াকে গ্রেফতার করে গতকাল সোমবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বকশীগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রবাজ গ্রামের বিপুলের সঙ্গে প্রতিবেশী বিল্লাল মিয়ার জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। ২০০৯ সালের ১৭ জানুয়ারি রাতে উপজেলা সদর থেকে বাড়িফেরার পথে বাড়ির পাশে রাস্তায় খুন হন কদ্দুছ। এ ঘটনায় কদ্দুছের ছেলে বিপুল বাদী হয়ে বিল্লাল, সিদ্দিক মিয়াসহ কয়েকজনকে আসামি করে বকশীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে থানা পুলিশ খুনের রহস্য উদ্ঘাটন করতে না পেরে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। পরে বিপুল মিয়ার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটি ডিবিতে স্থানান্তর হয়। দীর্ঘ তদন্ত শেষে ঘটনার সাক্ষ্য-প্রমাণ না পাওয়ায় ডিবি পুলিশও মামলাটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়।
বিপুল মিয়া মামলার তদন্তের জন্য ফের আদালতে আবেদন করলে আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য সিআইডিকে দায়িত্ব দেন। সম্প্রতি সিআইডির তদন্তে কদ্দুছ মিয়া খুনের ঘটনায় বিপুল মিয়ার সম্পৃক্ততার ঘটনা বেরিয়ে আসে। পরে বিপুল মিয়া, তার সহোদর বায়েজিদ ও চাচা মুন্নাফ মিয়াকে আসামি করে সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার নাসিম বাদী হয়ে বকশীগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, জমিজমা হাতিয়ে নিতে ও প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতেই বিপুল তার চাচাতো ভাই বায়েজিদ ও চাচাকে নিয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়। গতকাল সোমবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।