খেলা ডেস্ক ঃ পাঁচজন ব্যাটসম্যান ব্যাট করেছেন। চারজনেরই ফিফটি। সবচেয়ে কম স্ট্রাইক রেট রোহিত শর্মার ৭৬.৪৭। বাকি চার ব্যাটসম্যানের কারোরই এক শর নিচে নয়। হার্দিক পান্ডিয়ার তো ৩৩৩.৩৩! এটুকুতেই বোঝা যায় এজবাস্টনে কাল পাকিস্তানের বোলারদের ওপর দিয়ে কী ঝড়টাই বইয়েছেন ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা!
আর পাকিস্তান? তিন দফা বৃষ্টি-বাধার পর ডাকওয়ার্থ–লুইস পদ্ধতিতে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪১ ওভারে ২৮৯। তা তাড়া করতে গিয়ে ওপেনার আজহার আলী আউট হয়েছেন ঠিক ফিফটি করে (৬৫ বলে ৫০), আর মোহাম্মদ হাফিজ করেছেন ৩৩। আর কেউ বিশের ঘরেই যেতে পারেননি। তাতেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে কাল ভারতের কাছে ১২৪ রানে হেরেছে পাকিস্তান।
ভারতের ইনিংসের সময়ই বৃষ্টিতে দুই দফা খেলা বন্ধ থাকায় ম্যাচ কমে আসে ৪৮ ওভারে। এরপরও ভারতের রান ৩ উইকেটে ৩১৯! পুরো ইনিংসে ছক্কা ১০টি, চার ২৭টি। এরপর পাকিস্তান ইনিংসের পঞ্চম ওভারের সময় আবার বৃষ্টি। আবারও শরণ ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতির। কিন্তু ওভারপ্রতি সাতেরও ওপরে রান করার চ্যালেঞ্জ বা ভারতের দুর্দান্ত বোলিংয়ের কারণেই হোক, ভেঙে পড়ল পাকিস্তান। ৫০ রানেই হারিয়েছে শেষ ৭ উইকেট। সর্বোচ্চ জুটিটা ৪৭ রানের, সেটিও দুই ওপেনারের মধ্যে।
টস জিতেও আগে বোলিং নিয়েই কি ভুলটা করেছে সরফরাজ আহমেদের দল? ম্যাচের পর সাক্ষাৎকারে পাকিস্তান অধিনায়ক ধারাভাষ্যকারের এমন প্রশ্নে সোজাসুজিই ‘না’ বলে দিয়েছেন। তবে ভারতের ব্যাটিং বলে ভিন্ন কথা। ব্যাটিং উইকেটে রোহিত-ধাওয়ান-কোহলি-যুবরাজরা রীতিমতো ঝড় তুলেছেন। যেন নিজেদের মধ্যেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা, ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে কে কাকে ছাড়িয়ে যেতে পারেন! শুরুটা রোহিত-ধাওয়ানের ১৩৬ রানের ওপেনিং জুটিতে। ২৫তম ওভারে ধাওয়ান (৬৮) ফিরলেও রোহিত ছুটে চলেছিলেন সেঞ্চুরির দিকে। কিন্তু ৯ রানের জন্য সেঞ্চুরিটা পাননি কোহলির সঙ্গে ভুল-বোঝাবুঝিতে রানআউট হয়ে।
বাকি ইনিংসটাকে বলতে পারেন কোহলি-যুবরাজ ‘শো’। পাকিস্তানের বাজে ফিল্ডিংয়ের সুযোগে ৮ রানে যুবরাজ আর ৪২ রানে কোহলি ‘জীবন’ পেয়েছেন। নতুন জীবন দুজনই উপভোগ করেছেন দারুণ আনন্দে। ৩২ বলে ৫৩ করা যুবরাজ ৪৭তম ওভারে ফিরে গেলেও এজবাস্টনে ঝড় থামেনি। তিন ছক্কা আর ছয় বাউন্ডারিতে ৬৮ বলে ৮১ করে অপরাজিত কোহলি। শেষ দিকে ঝড়টাকে আরও প্রবল করে তুললেন হার্দিক পান্ডিয়া। ইমাদ ওয়াসিমের করা শেষ ওভারে তাঁর পরপর তিন ছক্কার সুবাদে আসে ২১ রান।