বিশেষ প্রতিনিধি ॥ জামালপুরের সবচেয়ে অবহেলিত বকশীগঞ্জ ও দেওয়ানগঞ্জের মধ্যে দ্রুতই সেতুবন্ধন। বহ্মপুত্র ও দশানী নদী দিয়ে বিচ্ছিন্ন হওয়া দুটি উপজেলার মধ্যে রাস্তা ও সেতু তৈরীর কাজ দ্রুতই এগিয়ে চলছে।
ইতিমধ্যই মানুষের মধ্যে দুই উপজেলার মধ্যে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের জন্য বকশীগঞ্জ ও দেওয়ানগঞ্জে ৪টি ব্রীজ নির্মান প্রকল্পটির কাজ দ্রুতই শেষ হওয়ার পথে।
রাস্তাটি নির্মিত হলে দেওয়ানগঞ্জ ও বকশীগঞ্জে মধ্যে দুরুত্ব দাড়াবে মাত্র ১৩ কিলোমিটার। বর্তমানে তাড়াটিয়া দিয়ে ঘুরে দেওয়ানগঞ্জ যেতে দুরুত্ব দাড়ায় ৪০ কিলোমিটার। যা জেলা শহর জামালপুর থেকে অনেক বেশি।
১০৯ কোটি ব্যায় প্রকল্পটিতে রয়েছে ২টি ব্রীজ। খেওয়ারচর বাজারের পশ্চিমে ১৯ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত ব্রীজটির কাজ ৫০ শতাংশ শেষ হয়েছে। বাকী কাজ আগামী বছরের নির্দিষ্ট সময় অগাষ্টের আগেই শেষ হবে।
এদিকে জামালপুর জেলার সবচেয়ে বৃহত্তম ব্রীজ নির্মিত হতে যাচ্ছে। ৫৮৫ মিটার ব্রীজটি নির্মান করতে ব্যায় ধরা হয়েছে ৭৪কোটি টাকা।
সুনামধন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এম এম (বাসি) ও সিই জেভি যৌথভাবে এ কাজ গুলি করছেন।
বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এর মাধ্যমে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে।
১২ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে বকশীগঞ্জ উপজেলার অংশে ৮কিলোমিটার ৮শ মিটার নির্মাণ করছে করছে এলজিইডি অফিস বকশীগঞ্জ।
১৮ফিট প্রসস্থ রাস্তাটিতে চলতি বছরে নভেম্বরে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও কাজের গতিনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের আগেই শেষ হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের বকশীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ রমজান আলী জানান, কাজের মান সন্তোষজনক। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই রাস্তা ও ব্রীজের কাজ শেষ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।