মহা প্রতারক সাহেদের ২ কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুরীতে বাবুল চিশতির হাত! – সাপ্তাহিক বকশীগঞ্জ
Site icon সাপ্তাহিক বকশীগঞ্জ

মহা প্রতারক সাহেদের ২ কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুরীতে বাবুল চিশতির হাত!

ঢাকাঃ হাসপাতাল জালিয়াতি এবং করোনা ভাইরাস পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট ও সার্টিফিকেট দিয়ে রোগীদের কাছ থেকে বিপুল টাকা আত্মসাৎ করেই দুর্নীতি থেমে যায়নি রিজেন্ট গ্রুপ চেয়ারম্যান ও রিজেন্ট হাসপাতাল মালিক সাহেদ করিমের। দেশের ব্যাংকিং সেক্টরেও তার প্রতারণার তথ্য-প্রমাণ মিলেছে।

ব্যাংক খাতে আলোড়ন ‍সৃষ্টকারী মাহাবুবুল হক বাবুল চিশতির সাথেও ছিল সাহেদের সখ্যতা। বাবুল চিশতির হস্তক্ষপে ২ কোটি ঋন পান মহা প্রতারক সাহেদ। এই ঋণের ১টি টাকাও পরিশোধ করা হয়নি।

২০১৫ সালের জানুয়ারিতে রিজেন্ট হাসপাতালের ম্যাগনেটিক রেজোন্যান্স ইমেজিং স্ক্যানার (এমআরআই) যন্ত্র কেনার নাম করে সাবেক ফারমার্স ব্যাংকে (বর্তমান পদ্মা ব্যাংক) ঋণ আবেদন করেছিলেন সাহেদ। এরপর ওই ব্যাংক থেকে দুই কোটি টাকা ঋণ নেন সাহেদ। গত সাড়ে পাঁচ বছরে (২০১৫- ২০২০ জুলাই পর্যন্ত) এই ঋণের একটি টাকাও ফারমার্স ব্যাংককে পরিশোধ করেনি মহাপ্রতারক সাহেদ করিম ওরফে সাহেদ।

ঋণের টাকা পরিশোধ না করায় ২০১৭ সালের শেষে ফারমার্স ব্যাংকের পক্ষ থেকে সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলাও দায়ের করা হয়েছিল। তবে কিছুদিন পরে প্রতারক সাহেদ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নিয়ে নেন। তবুও ব্যাংক ঋণের একটি টাকাও পরিশোধ করেননি। বর্তমানে সাহেদ কমিরের কাছে ফারমার্স ব্যাংক ঋণ বাবদ দুই কোটি ৭৩ লাখ টাকা পায়।

পদ্মা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, রিজেন্ট হাসপাতালের জন্য এমআরআই যন্ত্র কেনার জন্য ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে সাহেদ করিম ব্যাংকে ঋণের আবেদন করেছিললেন। পরে এই ঋণটি তৎকালীন অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতি তার সরাসরি ক্ষমতা বলে অনুমোদন করেছিলেন। তখন ব্যাংকের কিছু করার ক্ষমতা ছিল না। এরপরও ব্যাংক তার সঙ্গে বিভিন্নভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করেছে। কিন্তু সাহেদ করিমের সঙ্গে কোনো দিনও দেখা করতে পারেননি কর্মকর্তারা। সবসময় রিজেন্ট গ্রুপের হিসাব শাখার লোকদের সঙ্গে যোগাযোগ হতো।

ব্যাংক কর্মকর্তারা ঋণ পরিশোধের তাগিদ দিতে তার সঙ্গে কোনো দিন দেখাই করতে পারতেন না। তার অফিসে গেলেই বলা হত, তিনি বিদেশে আছেন। অথবা রাষ্ট্রীয় জরুরি কাজে ব্যস্ত আছেন। এখন তাকে পাবেন না। পরে আসতে হবে। ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার পর এমন সব প্রতারণাও করতেন ফেরারি সাহেদ করিম।

এ বিষয়ে পদ্মা ব্যাংকের গুলশান শাখার ম্যানেজার সাব্বির মো. সায়েম বলেন, ঋণ নেওয়ার পর থেকে তিনি প্রচণ্ড ব্যস্ত হয়ে পড়েন! কখনও তার সঙ্গে দেখা করা যেত না। সাহেদ করিমের কাছে মোট দুই কোটি ৭৩ লাখ টাকা এখনও পায় ব্যাংক।

Exit mobile version