স্টাফ রিপোর্টারঃ করোনা মহামারির কারণে খাদ্য সংকটে থাকা বকশীগঞ্জের পাখীমারা এলাকায় অসহায় ও দুঃস্থ পরিবারের মাঝে সোমবার বিকেলে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। ধারাবাহিক সহায়তা কার্যক্রমের ৫ম দফায় এলাকার ২০০ পরিবারের বাড়ি বাড়ি ৭ দিনের খাবার উপযোগী নিত্যপণ্য পৌঁছানোর পর সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
করোনা বিপর্যয় সময়ে ধারাবাহিক সহায়তা কার্যক্রমে এবার এগিয়ে এসেছেন পাখিমারা সরকারবাড়ির আরেক কৃতি সন্তান মরহুম হোসেন উদ্দিন সরকারের নাতী ফরিদা ইয়াসমিন। গর্বিত বাবা মো. ফজলুল হকের দ্বিতীয় সন্তান।স্বামী রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর উপ-পরিচালক (অব:) মোঃ নজরুল ইসলাম জামালী। ফরিদা ইয়াসমিন রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত মেয়েদের একটি স্বনামধন্য ভিকারুননিছা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সিনিয়র শিক্ষক।তিনি সহায়তার হাত প্রসারিত রেখে নিয়মিত এলাকার অনেক অসহায় মানুষের মাঝে সাহায্য সহযোগিতা করে আসছেন।এরই ধারাবাহিকতায় এবার তার আর্থিক সহযোগিতায় অসহায় ও দুঃস্থ পরিবারের মাঝে নিয়মিত সহায়তা কার্যক্রমের ৫ম দফায় ২০০ পরিবারের মাঝে খাবার উপযোগী নিত্যপণ্য বিতরণ করা হয়।
বরাবরের মত এবারো মানবতার কাজে পাখীমারা সরকারবাড়ির সরকার-অনুমোদিত স্বেচ্ছাসেবক সুমন সরকার ও রাসেল সরকারসহ একদল তরুণ স্বেচ্ছাসেবক ওইসব অসহায় ও দুঃস্থ পরিবারের বাড়ি বাড়ি ৭ দিনের খাবার উপযোগী নিত্যপণ্য পৌঁছে দেন। তারা প্রতি সপ্তাহে সরকারবাড়ির বিত্তবানদের আর্থিক সহায়তায় এলাকার অসহায় মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন। এ ছাড়াও সোমবার বিকেলে চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ ও তেলসহ নানা ধরনের নিত্যপণ্য বিতরণ শেষে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অসহায় ও দুঃস্থ মানুষদের নিয়ে দোয়া ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে।
পাখীমারা সরকারবাড়ির সন্তান জামালপুর প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ সাংবাদিক কাফি পারভেজ বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শুরু থেকেই সরকারবাড়ির বিত্তবানদের আর্থিক সহায়তায় অসহায় ও দুঃস্থ পরিবারের মাঝে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশাবাদ প্রকাশ করেন । অসহায়দের সহায়তা প্রদানের জন্য করোনা বিপর্যয় সময়ে ধারাবাহিক সহায়তা কার্যক্রমে সরকারবাড়ির সকল বিত্তবানদের এগিয়ে আসার অনুরোধ জানান তিনি।