স্টাফ রিপোর্টার॥ জামালপুরের বকশীগঞ্জে ভয়াবহ বন্যার পানিতে ডুবে আরো তিন শিশুসহ এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া নিখোজ হওয়া পান ব্যবসায়ীও মৃতদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা।
রবিবার বাড়ির পাশে বন্যার পানিতে ভেলায় করে খেলতে গিয়ে দুই শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। এ সময় আহত হয়েছে আরো এক শিশু।
২১ জুলাই রোববার দুপুর ২ টার দিকে বকশীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের সূর্যনগর পূর্ব পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার দুপুরে সূর্যনগর পূর্ব পাড়া গ্রামের শাহীন মিয়ার কন্যা ও হাসিনা গাজী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেনীর ছাত্রী সজনী আক্তার (১১), শাহিনের সহোদর ভাই সলি মদ্দিনের কন্যা ও সুর্যনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেনীর ছাত্রী সাথী আক্তার (৮) ও মাসুদ মিয়ার কন্যা মৌসুমী আক্তার (৮) বাড়ির পাশে বন্যার পানিতে ভেলায় করে খেলতে যায়। ভেলায় খেলতে খেলতে হঠাৎ তারা ভেলাটি উল্টে পানিতে পড়ে গেলে ডুবে সজনী আক্তার ও সাথী আক্তার মারা যায়। এ সময় পানিতে হাবুডুবু খেয়ে মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন মৌসুমী আক্তার।
পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় মৌসুমীকে বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
অপরদিকে মেরুরচর ইউনিয়নের রবিয়ারচর গ্রামের আবদুল শেক (৭০) নামে এক বৃদ্ধের পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে। রোববার বিকাল ৩ টার দিকে তিনি তার ঘরের পেছনে বন্যার পানিতে গোসল করতে গিয়ে পানিতে পড়ে যান। কিছুক্ষণ পর তার লাশ পানিতে ভেসে উঠে।
এছাড়াও দুপুর ২ টায় সাধুরপাড়া ইউনিয়নে কুতুবেরচর গ্রামে বন্যার পানিতে ডুবে ইয়াছিন মিয়ার ছেলে স্বাধীন মিয়া (৪) নামে আরো এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে শুক্রবার থেকে নিখোজ হওয়া সুজন (২৫) নামে এক পান মৃতদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। সুজন বকশীগঞ্জ পৌর এলাকায় সীমারপাড় গ্রামের শাহাজাহানের ছেলে। গত শুক্রবার বন্যার পানিতে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ হয় সুজন। পরে ঘটনাস্থল থেকে ৩ কিলোমিটার দুরে ফকিরপাড়া থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, এবারের ভয়াবহ বন্যায় বকশীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে পানিতে ডুবে, শিশু, বৃদ্ধ, কিশোর সহ ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও সাপের দংশনে আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে।