রোববার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে ইমামদের রিফ্রেশার্স প্রশিক্ষণ কর্মশালা উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
হানিফ বলেন, তফসিল ঘোষণার পরই কারা মনোনয়ন পাচ্ছেন, তা চূড়ান্ত ভাবে বলা যাবে। আওয়ামী লীগ নির্বাচনের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত। সভানেত্রী বিভিন্ন উইংস থেকে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছেন। সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিকেই দেয়া হবে মনোনয়ন। সেই তালিকাও প্রায় প্রস্তুত।
নির্বাচনের আগে খালেদা জিয়ার মুক্তি, নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় সরকার গঠনে বিএনপির দাবি প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে হানিফ বলেন, বিএনপি কি করবে- সেটা তাদের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। আমরা মনে করি খালেদার মুক্তির বিষয়ে বিএনপির দাবি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। একমাত্র রাষ্ট্রপতিই পারেন তাকে মুক্তি দিতে। সেই ক্ষেত্রে খালেদাকে মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। এর বাইরে রাজনৈতিক ভাবে মুক্ত করার কোনো সুযোগ নেই।
হানিফ আরো বলেন, খালেদার মুক্তির জন্য বিএনপির রাজনৈতিক দাবির মধ্যদিয়ে স্পষ্ট হয়েছে এতিমের টাকা আত্মসাৎ দলের নেতারাও সুনিশ্চিত। আর সে কারণেই তারা সুনিশ্চিত যে, আদালতে তাকে নির্দোষ প্রমাণ করে মুক্তি সম্ভব নয়। তাই তারা রাজনৈতিকভাবে মুক্তির চেষ্টা করছে। হানিফ বলেন, বিএনপি রাজপথে আন্দোলনের হুমকির দিয়ে নেত্রীর দুর্নীতি ও অপকর্ম আড়ালের চেষ্টা করছে। এরমধ্যদিয়ে খালেদার অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছে বিএনপি।
নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে বিএনপির দাবির প্রতিক্রিয়ায় হানিফ বলেন, কোনো রাজনৈতিক দলের ইচ্ছা-অনিচ্ছার উপর সবকিছু নির্ভর করে না। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতি বৈঠক করে সবার পরামর্শে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। সেই কমিশন কারো ইচ্ছা-অনিচ্ছায় যখন-তখন ভেঙে পুনর্গঠনের দাবি যৌক্তিক নয় বলে উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
দেশে ফের কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে আওয়ামী লীগের অবস্থান কি হবে- সাংবাদিকদের প্রশ্নের তিনি বলেন, ২০১৪ সালে নির্বাচনে অংশ না নিয়ে সারাদেশে অরাজকতা সৃষ্টি করে বিএনপি ভুল রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এ ধরণের ভুল বিএনপি আর করবে না। তবে তারা যদি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে, তাহলে অতীতের মতোই জনগণ প্রতিহত করবে।