গোলাম রাব্বানী নাদিমঃ মীর্জা আমীর, জামালপুরের বকশীগঞ্জের সুর্য্যনগর গ্রামে জন্ম নেওয়া সুনামধন্য একজন কবি ও লেখক। সাহিত্যের প্রতি অকৃত্রিম ভালবাসার কারণে সদুর প্রবাসে বসেই আধিয়ার স্পর্শ, সুর্যকন্যা, নারী দংশন, চন্দ্রপুরুষ, ময়ুরী বউ, যদি ভালবাসা পাই, চন্দ্রপ্রভা, নীল কষ্টের ঢেউ, বৃদ্ধাশ্রম ও পাপী বউ নামে জনপ্রিয় বই প্রকাশ করেছেন।
বর্তমানে ‘‘প্রণয়পক্ষ’’ নামে এক উপন্যাসে কাজ চলছে। আগামী ২১ বই মেলায় এটি বাজারে আসবে বলে জানিয়েছেন আমির মীর্জা।
র্মীজা আমীরের প্রকাশিত কবিতা গ্রন্থের মধ্যে ‘‘অতন্দ্র পৃথিবী’’ ও ‘‘হীরের মাটি সোনার ফুল’’।
কবিতা দিয়ে লেখক জীবন শুরু করলেও আস্তে আস্তে ছোট গল্প ও উপন্যাস লেখেছেন এই গুণিমান লেখক।
১৯৭৮ সালে জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার সুর্যনগর জন্ম নেন তিনি। ব্যক্তিগত জীবনের ৩ ছেলে সন্তানের জনক। স্ত্রী স্থানীয় এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা।
বাবা আলহাজ্ব মীর্জা আব্দুল জলিল ও মা রাজিয়া বেগম আমীর মীর্জার প্রেরণার একমাত্র উৎস।
৫ম শ্রেনীতে পড়াশোনা চলাকালেই প্রথম রচিত ‘‘শহিদের রক্ত’’ কবিতা স্থানীয় এক সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়। জীবনের তাগিতে প্রবাস জীবন অতিবাহিত করেন প্রায় দীর্ঘ দেড় যুগ।
২০০০ সালে জীবনের প্রবাস জীবন শুরু করেন তিনি। সেখানেই কঠোর পরিশ্রম করার পরেও তিনি সাহিত্য চর্চা থেকে পিছ পা হননি। একে একে বাংলার সাহিত্যের অঙ্গনে যুক্ত হয়েছে তার লেখা ১৪টি গ্রন্থ।
ফলশ্রুতিতে ২০০৪ সালে চয়ন সাহিত্য পদক, ২০১১ সালে তৎকালীণ তথ্য ও সংস্কৃতিমন্ত্রী কর্তৃক ‘‘সাহিত্য সম্মামনা পদক’’, ২০১৫ সালে ‘‘চয়ন ও দশ দিগন্ত’’ পদক লাভ করেন এই কৃতি সন্তান।
সম্প্রতি দেড় যুগের প্রবাস জীবন অবসান ঘটিয়ে, এলাকায় উঠতি বয়সি লেখকদের সাথে নিবির যোগাযোগ রাখছেন। এছাড়া শিক্ষার মান উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ নিয়ে বকশীগঞ্জ ক্যাডেট একাডেমী নামে এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের কাজ জোরেসোরে এগিয়ে চলছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরেই আত্ম প্রকাশ করবে ‘‘বকশীগঞ্জ ক্যাডেট একাডেমী’’।