৮ অগাষ্ট বুধবার করা এই মামলায় বাবুল চিশতীর বিরুদ্ধে ফারমার্স ব্যাংকের অর্থে প্রভাব খাটিয়ে বিদেশ ভ্রমণ করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
গুলশান থানায় দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মো. সহিদুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি করেন বলে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, “ব্যাংকের প্রচলিত বিধি উপেক্ষা করে ক্ষমতার অপব্যবহার ও বিজনেস মিটিংয়ের নামে ২০১৭ সালের ১৯ অগাস্ট থেকে একই বছরের ২৮ অগাস্ট পর্যন্ত লন্ডন ও আরব আমিরাত ভ্রমণ ভাতাবাবদ ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের নয় লাখ ২৪ হাজার ৬৭৩ টাকা আত্মসাত করেন।”
এই ভ্রমণ সংক্রান্ত বিমান ভ্রমণ বিল, লন্ডন ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে মোট ১০ দিনের ভাতা বাবদ অর্থ, লন্ডনে ৪ রাত ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৫ রাত অবস্থান করার জন্য হোটেল খরচ, ভিসা প্রসেসিং ও অন্যান্য খরচ বাবদ প্রচুর পরিমাণে অর্থ উত্তোলন করেন।
বিধি মোতাবেক পরিচালনা পর্ষদের কোনো পরিচালকের এমন ভ্রমণে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আসামি অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ নেন। এভাবে প্রচলিত বিধি-বিধান উপেক্ষা করে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে বিজনেস মিটিংয়ের নামে লন্ডন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ভ্রমণ ভাতা বাবদ ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের আর্থিক ক্ষতিসাধনপূর্বক অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি কমিশন তদন্ত করবে।
এর আগে গত ১০ এপ্রিল গুলশান থানায় বাবুল চিশতী ও তার স্ত্রী রুজী চিশতী এবং ফারমার্স ব্যাংকের এসইভিপি ও গুলশান শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে দুদক।
ওই মামলায় বিভিন্ন সময়ে বাবুল চিশতী তার স্ত্রী, ছেলে, মেয়েদের ও তাদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন শাখায় থাকা মোট ২৫টি হিসাবে অর্থ নগদ ও পে অর্ডারের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় ১৫৯ কোটি ৯৫ লাখ ৪৯ হাজার ৬৪২ টাকার ‘সন্দেহজনক’ লেনদেন করেছেন বলে অভিযোগ আনা হয়।