বিশেষ প্রতিনিধিঃ ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে জীবনের মায়া ত্যাগ মাতৃভুমি রক্ষা যুদ্ধে জয়ী হলেও জীবন যুদ্ধে পরাজিত এক সৈনিকের নাম নজরুল ইসলাম। পরের জমিতে প্যালেথিনের চালায় তার বসবাস।
দীর্ঘদিন যাবত ই সলামপুরের মৌজায় কিংজাল্লা গ্রামে রাস্তার ধারে ময়লার ভাগারের পাশে অন্যের জমিতে টিনের বেড়ার উপর পলিথিনের চালা ঘর তুলে বসবাস করছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম ও তার দরিদ্র পরিবার।
মুক্তিযোদ্ধার সম্মানী ভাতা পান কিন্তু তা দিয়ে তাদের চিকিৎসা ও পেটের ভাতই জুটেনা।
চালা ঘরের সামনে মুক্তিযোদ্ধা নজরুল
মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলামের স্ত্রী জামরুন নাহার ভিক্ষা করেন। তাদের এক ছেলে ফুটপাতে চা বিক্রি করেন এবং অপর ছেলে রিক্সা চালিয়ে কোন রকমে নিজেদের জীবন বাঁচান।
মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম অন্তত: মৃৃত্যুর আগে হলেও স্বাধীন বাংলাদেশের কোথাও একখন্ড জমিতে নিজের ঘরে পেট ভরে ভাত খেয়ে একটু শান্তিতে ঘুমাতে চান।
এদিকে স্থানীয় এক সংবাদিকের ফেসবুকের স্ট্যাটাসের মাধ্যমে বিষয়টি মুক্তিযোদ্ধের কে-ফোর্স এর অধিনায়ক খালেদ মোশারফের কন্যা মাহাজাবিন খালেদ বেবির নজরে আসার সাথে সাথে স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে সাথে নিয়ে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ঢেউটিন দিয়ে সহযোগিতা করেন। এবং উক্ত মুক্তিযোদ্ধার নামে জমি বরাদ্দের ব্যবস্থা করার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দশনা দেন।
পরে তিনি সাংবাদিকের জানান, যাদের জন্য আমরা এমপি মুন্ত্রী, যারা দেশের জন্য যুদ্ধ করেছে তাদের এ অবস্থা দেখলে খুবই খারাপ লাগে। এই মুক্তিযোদ্ধার জন্য কিছু করতে পরে নিজেকে আজ সত্যিই ভাল লাগছে। যেদিন সে জমি পাবে সে দিন আরও ভাল লাগবে।