গোলাম রাব্বানী নাদিমঃ জামালপুরের বকশীগঞ্জে ঢাকা-রৌমারী রোডের নয়াপাড়া মোড়ে ২০০ গজ দুরে অবস্থিত আজাদ আলোকিত বিশেষ শিক্ষালয়। বিদ্যালয়টি পরিচালিত হয় আজাদ এডুকেশনাল এন্ড ফিলানথ্রপিক সোসাইটি থেকে বলে সাইনবোর্ডে উল্লেখ রয়েছে।
৩ ফেব্রুয়ারী শনিবার দুপুরে সরজমিনে পরিদর্শনে যায়, বিদ্যালয়টি শিক্ষকরা শীতের সকালে বাইরে চেয়ার পেতে রোদ পোহাচ্ছে। বিদ্যালয় প্রধান বিদ্যালয়ে নেই। সাংবাদিক দেখেই সকল শিক্ষকদের ছোটাছুটি।
পরে জানাযায় বিদ্যালয়ের প্রধান ও উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শাহিনা বেগম গত ২৮ ডিসেম্বর পৌরসভা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় এ পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। এখন দায়িত্ব পালন করছেন উপজেলা মহিলা লীগের সাধারন সম্পাদক সুরাইয়া আক্তার।
বিদ্যালয়ে সুরাইয়া বেগম নেই। পরে ফোন দেওয়ার মিনিট দশেক এর মধ্যেই বিদ্যালয়ে হাজির। এসে সাংবাদিক দেখেই বিব্রতবোধ করেন বর্তমান দায়িত্বরত বিদ্যালয়টির প্রধান।
পরে তার নিকট চাওয়া হয় তথ্য। বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী কত? বিদ্যালয়ে শিক্ষিকার সংখ্যা কত? কোন তথ্যই তিনি দেননি।
সাংবাদিক দেখে দ্রুতই বিদ্যালয় শিক্ষক হাজিরা ও শিক্ষার্থী হাজিরা সবই তলাবদ্ধ করে রাখলেন বিদ্যালয়ের প্রধান। বিদ্যালয় ও অফিস কক্ষের ছবি তোলতেও দিলেন বাধা।
নাম প্রকাশ শর্তে বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষক জানান, এই বিদ্যালয়ে সর্ব মোট স্টাফ সংখ্যা প্রায় ৩০জন। শিক্ষার্থীর চেয়ে শিক্ষকের সংখ্যা বেশি এ বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, শীতের দিন সে কারণে শিক্ষার্থীরা আসেনি। এছাড়া শিক্ষার্থীদের আনা নেওয়ার কাজে ৩টি ভ্যানের মধ্যে ২টি নষ্ট থাকায় এ সেবা না দেওয়াতে অনেক শিক্ষার্থীই কমেগেছে।
প্রধান শিক্ষকদের এ ধরনের আচরন দেখে কৌতুহলের পরিমান আরও বেড়ে যায়। কেন এমন আচারণ? পরে সরজমিনে দেখা যায়, ১ শ্রেনী ৪ জন, ২য় শ্রেনীতে ৫ জন ও ৩য় শ্রেনীতে ৬ শিক্ষার্থী মাটিতে বসে আছে। শীতের দিনে মাটিতে বসার কারণে অনেকই শীতে থরথর করে কাপচ্ছে।
স্কুলের প্রধান উপজেলা মহিলা লীগের সভাপতি ও গত নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনিত দলীয় মেয়র প্রার্থী শাহিনা বেগম পৌর নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিদ্যালয়ের এ পদ থেকে পদত্যাগ করেন। নির্বাচনে বিশাল পরাজয়ের পর তিনি আর বিদ্যালয়ের আসেননি। কিন্তু বিদ্যালয় থেকে পদত্যাগ করলেও তার প্রভাব ও বলয় এখনও যে স্কুলে রয়েছে, তা স্পস্ট।
বিদ্যালয়টি এলাকার প্রতিবন্দি জন্য স্থাপন করা হয়েছে। এতে এলাকার অনেক প্রতিবন্দি মানুষ উপকৃত হচ্ছে কিন্তু এর আড়ালে যেন রাজনৈতিক কোন উদ্দেশ্য না থাকে এমনটাই আশা করছেন এলাকাবাসী।
সরজমিন প্রতিবেদন আরও আসছে—–