বিশেষ প্রতিনিধি ॥ জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে ২য় শ্রেনীর শিক্ষার্থীকে বলৎকারের ঘটনায় দেড় লক্ষ টাকায় রফাদফা হয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। এ নিয়ে পুরো সানন্দবাড়ীতে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এলাকার মাতব্বর হাজী নুরুল ইসলাম এই রফাদফায় করেন বলে স্থানীয়রা জানান।
এদিকে এ ঘটনায় হাজী নুরুল ইসলাম জানান, এলাকার লোকজনের সহযোগিতায় বিষয়টি মিমাংসা করা হয়েছে। এ নিয়ে কিছু টাকা পয়াসাও দেওয়া হয়েছে বলে তিনি স্বীকার করেন। তবে কত টাকা দেওয়া হয়েছে তিনি এ বিষয়ে কিছু বলেননি।
মিমাংসার বিষয়ে সানন্দবাড়ী পুলিশ ফাড়ি দায়িত্বরত কর্মকর্তা এসআই শামীম জানান, এটি কোন মিমাংসা যোগ্য অপরাধ নয়। মিমাংসা বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। তিনি বলেন, এ ঘটনার সাথে জড়িত নুরুল কে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
প্রসঙ্গত, বুধবার দুপুরে শিশুটি স্কুল ছুটি হলে নুরুলের ঘরের পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। এমন ধর্ষক নুরুল ভাল বিস্কুটের প্রলোভন দেখিয়ে নিজ ঘরে নিয়ে মুখ চেপে বলৎকার করে।
এ সময় শিশুটির পায়ুপথ ফেটে রক্তাক্ত হলে পালিয়ে যায় লম্পট নুরুল। শিশুটির কান্নায় গ্রামের লোকজন ছুটে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে দেওয়ানগঞ্জ সরকারী হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত ডাক্তার জামালপুরে জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করে। ধর্ষক নুরুল (৪৫) টুপকারচর গ্রামের মৃত আব্বাসী আলীর ছেলে।