গোলাম রাব্বানী নাদিম ॥ ১১ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার দুপুর ১১.৫৫ মিনিটে যখন বকশীগঞ্জ উন্নয়ন মেলার উদ্বোধন শেষে প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে উপজেলা পরিষদের পিছনে যাই। দেখি অনেক বৃদ্ধ মহিলার জটলা।
গায়ে পাতলা পোষক, শীতে অনেকই কাপচ্ছে।
কাজ শেষে যখন মেলার দিকে যাচ্ছিলাম, পিছন থেকে ডাক, সাংবাদিক ভাই একটু দাড়ান।
দাড়ালাম, এক এক করে প্রায় শতাধিক বৃদ্ধ মহিলা, আশে পাশে ভীর জমাচ্ছে। এর মধ্যে একজন বলেই ফেললেন, ‘‘এডা কম্বল দিবা বাবা’’ ।
পরে বোঝলাম এই কম্বলের কাহিনী। একে একে ভাই, দাদা, চাচা, বাবা, সাংবাদিক এধরনের সম্বোধন করে কম্বল চাইতে লাগলো সবাই।
এর মধ্যে বৃদ্ধ জমিরন, বললেন, হিয়েল পড়েছে, হিয়েলে নিন আইবের পাই না। এডা কম্বল ব্যবস্থা করে দাও বাবা।
কিভাবে কম্বল দিব আমি? পাল্টা প্রশ্ন করলাম, বললেন, চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ তালুকদারের সাথে খাতির, টিএনও সাহেবের সাথে খাতির । ওদের বলে কম্বলের ব্যবস্থা করে দিতে।
বললাম, আপনারা সবাই বলেন, এদের মধ্যে সুফিয়া বললেন, চেয়ারম্যানকে কতই কমু, পত্তি বছরই দেয়, আর কত নিমু। চাইতেও শরম করে, নিতেও শরম করে। এবার চেয়ারম্যানও দেয় নাই, আর আমরাও পাই নাই।
কথাগুলো শোনে চেয়ারম্যানকে সুপারিশ করার জন্য উপজেলা পরিষদের গিয়ে দেখি চেয়ারম্যান কার্যালয়ে প্রায় ৩০ মিটার এলাকা দু-পায়ের রাস্তা রেখে শতেক ৫শ লোক কম্বলের আশায় বসে আছে। প্রায় ১০ মিনিট ভীর ঠেলে চেয়ারম্যানের কক্ষের সামনে গিয়ে দেখি দরজা বন্ধ। চেয়ারম্যান সাহেব আসেন নাই।
সেখান থেকে ফিরে এসে উপজেলা পরিষদের সামনে কথা হয়, উপজেলা পরিষদের সিএ আবুল কালাম আজাদের সাথে। তিনি বললেন, উপজেলা চেয়ারম্যান তার ব্যক্তিগত তহবিল হইতে বেশ কিছু কম্বল দিবেন। আজ হয়তো কম্বল দিবেন না, কম্বলের স্লীপ দিবেন। কম্বল সংগ্রহ হচ্ছে, ২/১দিনের মধ্যে কম্বল দেওয়া হবে।