নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার দেওটি বাজারে একটি চায়ের দোকানে চা-নাশতা করার সময় এক ছাত্রলীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলার নদোনা ইউনিয়নের দেউটি বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এরপর ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছেন পুলিশ। নিহত শাকিল দেওটি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। তিনি দেওটি ইউনিয়নের আমিরাবাদ গ্রামের আবুল হাশেমের ছেলে।
নিজেদের মধ্যে অন্তর্কলহ ও প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই হত্যা করা হয়েছে বলে আজ সকালে নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জহিরুল ইসলাম জানিয়েছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সাইফুল ইসলাম রাসেল ও মনির হোসেন আরমান। এর মধ্যে রাসেলের বাড়ি চাটখিলের শিবপুর এবং আরমানের বাড়ি আমিরাবাদ গ্রামে। তাদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।
নিহতের বন্ধু জাহিদ আলম অভি জানান, শাকিল গতকাল মঙ্গলবার সারা দিন স্থানীয় একটি নুরানী মাদ্রাসায় ভর্তির ব্যাপারে এলাকায় মাইকিং করেন। মাইকিং শেষ করে রাতে দেওটি বাজারে একটি চায়ের দোকানে চা-নাশতা খাচ্ছিলেন তিনি। এ সময় কিছু বুঝে ওঠার আগেই সাত-আট দুর্বৃত্ত এসে শাকিলকে গুলি করে। গুরুতর আহত অবস্থায় শাকিলকে প্রথমে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে এবং পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় ঢাকায় স্থানান্তর করেন চিকিৎসক। ঢাকায় নেওয়ার পথে চৌমুহনী পৌঁছার পর পরই শাকিল মারা যান।
নিহতের বন্ধু আরও দাবি করেন, স্থানীয় সন্ত্রাসী ও তিন খুনের মামলার আসামি লিটন ও আজগরের নেতৃত্বে এ হামলা হয়।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইসমাইল মিয়া বলেন, এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হবে। এখনো কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি।