স্টাফ রিপোর্টার ॥ জামালপুরের বকশীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে স্থগিত হওয়া মালিরচর হাজীপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রটিতে ভোট গ্রহন নাটকীয়তা চলছেই।
এদিকে পাশ্ববর্তী একটি কেন্দ্রেও ভোট গ্রহনের দাবী জানিয়েছে পারজিত এক প্রার্থী।
এদিকে একটি কেন্দ্র বাদে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন বকশীগঞ্জ পৌর নির্বাচনে পক্ষপাতমুলক ও নির্বাচনকে অসুষ্ঠু বানানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে একটি চক্র। তারা যে কোন মুল্যে এ সুষ্ঠু নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্দ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
অথচ সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নির্বাচন গুলোর মধ্যে সবচেয়ে সুষ্ঠুভাবে ভাবে সুসম্পন্ন হয় বকশীগঞ্জ পৌর নির্বাচন।
এদিকে একটি স্থগিত হওয়া কেন্দ্র ২০দিনের মধ্যে নির্বাচন হওয়া বিষয়টি স্বাভাবিক থাকলেও প্রায় ১০দিন অতিবাহিত হওয়ার পরেও ভোটগ্রহনের তারিখ নির্ধারিত না হওয়ায় জনগণের মাঝে সংশয় আরও তীব্রতর হচ্ছে। কবে এ তারিখ নির্ধারিত হবে সেটিও বলতে পারছে না স্থানীয় নির্বাচন কমিশন।
এ বিষয়ে নির্বাচন রিটার্নিং অফিসার মঞ্জুর আলম জানান, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পরের দিনই স্থগিত কেন্দ্রে ভোট গ্রহনের অনুমোদন চেয়ে কমিশনের চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এ চিঠির উত্তর পাওয়া যায়নি। তবে দ্রুত তারিখ নির্ধারন করে কমিশন থেকে চিঠি আসবে বলেও আশা করেন জেলা নির্বাচন অফিসার মঞ্জুর আলম।
এদিকে নির্বাচন উপলক্ষে একাধিক অভিযোগ দিয়েছে পরাজিত প্রার্থীরা। সেগুলো নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করা হয়েছে বলে উপজেলা নির্বাচন অফিসার সঞ্জিব কুমার সরকার জানান। তবে এই অভিযোগ নিয়ে কোন সিদ্ধান্তও হয়নি।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ তারিখে বকশীগঞ্জ পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নজরুল ইসলাম সওদাগর ৮হাজার ৫৯৯ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ৭ হাজার ৭০৫ ভোট পেয়েছেন। আর আওয়ামীলীগের প্রার্থী শাহিনা বেগমের প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ৫হাজার ১৬০ ভোট। এছাড়া আনোয়ার হোসেন তালুকদার বাহাদুর নারিকেল গাছ নিয়ে ৮৩৩, এম নুরুজ্জামান মোবাইল প্রতিক নিয়ে ৪৯৬ ও সোলায়মান হক ১৩১ ভোট পেয়েছেন।