বিশেষ প্রতিনিধি ॥ ব্যালেট ছিনতাই ও জোর পুর্বক ভোট দেওয়ার অভিযোগে বাতিল হওয়া মালিরচর হাজীপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতা পড়েছে বিএনপির সমর্থিত প্রার্থী ফখরুজ্জামান মতিন।
নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।
এদিকে যে কোন পরিস্থিতিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলাম সওদাগর প্রস্তুত রয়েছেন বলে জানাগেছে।
এদিকে পুরো পৌর এলাকায় বিএনপির সমর্থিত প্রার্থী ফখরুজ্জামান মতিন নির্বাচন থেকে সড়ে এসেছেন বলে খবর ভেসে বেড়াচ্ছে। তবে এ খবরটি পুরোপুরি ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন ফখরুজ্জামান মতিন।
তিনি জানান, নির্বাচন করব কি করব না এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে দলীয় ভাবে সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করবে ।
এদিকে নির্বাচন নিয়ে সর্তক মন্তব্য করেছেন উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুল কাইয়ুম। তিনি সাংবাদিকদের জানান, এই পরিস্থিতি নির্বাচনে অংশ নিলে প্রার্থীর পক্ষে জয় তুলে আনা কঠিন তবে অসম্ভব নয়।
নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিবে কি না জানতে চাইলে জানান, এটি আমার একার সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করে না। তবে ব্যক্তিগতভাবে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার পক্ষেই মতামত দিব।
তিনি আরও জানান, মালিরচর হাজীপাড়া কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ১৫২৮ জন। নির্বাচনে ৮০ভাগ ভোটার ভোট দিলে ভোটার সংখ্যা হবে ১১০০ এর মত। এদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রায় ৯০০ ভোটে এগিয়ে রয়েছে।
১১০০ ভোটের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী যদি ২০০ ভোটও পায় তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীর জয়ই নিশ্চিত হবে।
এক্ষেত্রে এক নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী দ্বিতীয়বার পরাজয়ের স্বাদ নিবে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভাল নিজেদের মধ্যে ভুলক্রটি শোধরে আগামী জাতীয় নির্বাচনে প্রস্তুতি নেওয়া।
এদিকে নির্বাচনে ফলাফল পুনঃ গণনার জন্য আবেদন করেছে বিএনপির প্রার্থী ফখরুজ্জামান মতিন।
এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নিশ্চিত করে জানান, এ বিষয়ে এখন তার করার কিছু নেই। নির্বাচনে অনিয়ম হয়ে থাকলে নির্বাচনের পর একটি ট্রাইবুনাল গঠণ হবে তারাই এ বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবে।
প্রসঙ্গত, ২৮ ডিসেম্বর নির্বাচনে হাজীপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কেন্দ্রটি স্থগিত ঘোষনা করে নির্বাচন কমিশন। এ কেন্দ্রেটি শুধু মহিলারা ভোট দিয়ে থাকেন। এ কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ১ হাজার ৫২৮ জন।