বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি
জামালপুরের বকশীগঞ্জে মফিজল হক (৫০) নামে এক মানব পাচার কারীকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। বুধবার সকালে মেরুরচর ইউনিয়নের আউল পাড়া গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালে মেরুরচর ইউনিয়নের আউল পাড়া গ্রামের মফিজল হকের মেয়ে মর্জিনা বেগম (২৫) কে ভারতীয় নাগরিক শিব সংকর ওরফে মান্না বিয়ে করেন। এর পর থেকে ভারতীয় নাগরিক শিব সংকর মান্না বাংলাদেশে যাতায়াত করতো। এক পর্যায়ে স্থানীয় এলাকার মানুষের সঙ্গে মান্নার সুসম্পর্ক গড়ে উঠে। এই সুযোগে গত ০৪.০৬.২০১৪ ইং তারিখে মেরুরচর ইউনিয়নের উত্তর পাড়া গ্রামের টাইমউদ্দিনের স্ত্রী গৃহবধূ মাহফুজা বেগমকে চাকুরী দেয়ার কথা বলে প্রতিবেশি জলিল মিয়া ও জালাল মিয়ার সহযোগিতায় বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচার করে শিব সংকর মান্না। মাহফুজা বেগমকে পাচারের খবর জানাজানি হলে তার স্বামী টাইম উদ্দিন বাদী হয়ে বকশীগঞ্জ থানায় গত ১৮.০৬.২০১৪ ইং তারিখে মানবপাচার আইনে একটি মামলা দায়ের করেন ।
অপরদিকে মাহফুজা বেগমকে চাকুরী দিতে না পারায় ১৩ দিন পর বাংলাদেশে ফেরত পাঠায় ভারতীয় ওই নাগরিক। পরে গত ০২.০৭.২০১৪ ইং তারিখে বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ ময়মনসিংহ ব্রিজ মোড় থেকে গৃহবধূ মাহফুজা বেগমকে উদ্ধার করেন। এসময় মানব পাচারে সহযোগিতা করায় জলিল মিয়া ও জালাল মিয়াকেও আটক করা হয়।
এঘটনা পর থেকে শিব সংকর মান্নার শ্বশুর মফিজল হক ও তার মেয়ে মর্জিনা বেগম পলাতক ছিল। দীর্ঘদিন ধরে পলাতক থাকায় এই মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে বিজ্ঞ আদালত।
অবশেষে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে পলাতক আসামি মফিজল হককে (মান্নার শ্বশুর) বুধবার সকালে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং দুপুরে তাকে জামালপুর আদালতে পাঠানো হয়।
বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসলাম হোসেন জানান, মাহফুজা বেগমকে পাচার করা মামলায় মফিজল হককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাশাপাশি ভারতীয় নাগরিক মান্নার সম্পর্কেও খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে ।