বিশেষ প্রতিনিধিঃ জামালপুরের বকশীগঞ্জে প্রথম বারের মত পৌর নির্বাচনে ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রচারণা শুরু হয়েছে। নিজে ও নিজের সমর্থকদের মাধ্যমে এই প্রচারণা চালাচ্ছে। এই প্রচারণা হিসাবে তারা বেছে নিয়েছে অন্যতম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। নিজের ক্ষমতা ও প্রভাব দেখানোর জন্য আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের নেতাদের সাথে ছবি তুলে ফেসবুকে প্রচার প্রচারানা চালাচ্ছে তারা।
প্রথম বারের মত নির্বাচনে আওয়ামীলীগের ৭জন প্রার্থী মনোনয়ন আশায় জেলা থেকে কেন্দ্রে দৌড় ঝাপ শুরু করে দিয়েছেন। আওয়ামীলীগের সকল প্রার্থীই মনোনয়ণ এর আশায় এখন ঢাকা ও জামালপুরে অবস্থান করছেন। ঈদের শুভেচ্ছা থেকে শুরু করে মনোনয়ণ প্রতাশী, সম্ভব্য মেয়র প্রার্থী এসব লেখা সম্বলিত ব্যানার এখন ফেসবুক বিশাল একটা জায়গা দখল করে আছে।
যে সকল প্রার্থী ফেসবুক ব্যবহার করতে জানেন না তারা নিকট আত্মীয় বা সমর্থক ও ভাড়া করে লোক দিয়ে ফেসবুক চালানোর খবর পাওয়া গেছে। আবার এসব ফেসবুক চালানোর জন্য দেওয়া হচ্ছে স্কীনটাচ মোবাইল, সীম ও এমবি।
এসব নেতানেত্রীদের ডিজিটাল নেতানেত্রী হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন স্থানীয় ভোটাররা। নির্বাচনকে সামনে রেখে শুরু হয়েছে ভোটের হিসাব-নিকাশ। নির্বাচন নিয়ে চলছে নানা রকম কানাঘুষা। নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্ভাব্য প্রার্থীরাও তাদের জনপ্রিয়তা বাড়াতে বিভিন্ন উঠান বৈঠক, সভা-সেমিনার, সামাজিক কর্মকান্ড ও ধর্মীয় সভাতে যোগদান করে নিজেদের সাধারণ জনগণের কাছে জানান দিচ্ছেন। আর এসব ছবি ফেসবুকের মাধ্যমে পোষ্ট দিচ্ছেন প্রার্থী ও প্রার্থীর সমর্থকরা।
অনেক ভোটারা এসব কর্মকান্ডে খুব ভালভাবেও দেখছে না। যারা এসব কাজে জড়িত তাদেরকে ডিজিটাল নেতা বা নেত্রী বলে আখ্যায়িত করছেন।
ভোটারদের মধ্যে নামাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আবুল কালাম জানান, বড় বড় নেতাদের সাথে ছবি তুললেই ভোট বাড়বে না বরং কমবে। কারণ এত বড় নেতার সাথে সু-সর্ম্পক থাকার পরেও এলাকার উন্নয়নে কি ভুমিকা রেখেছেন এই প্রশ্নটা সামনে এসে যায়।
জিগাতলা গ্রামের বাসিন্দা কাসেম জানান, ফেসবুক দিয়ে যদি বড় নেতা হওয়া যায়, তবে আর নির্বাচনের দরকার কি।
বকশীগঞ্জ বাজারের বাসিন্দা কারিমুল হক জানান, আমরা ফেসবুক মার্কা মেয়র চাই না, যাকে আমরা আপদে বিপদে সব সময় কাছে পাব, তাকেই ভোট দিব। ঢাকা বা অন্য স্থানে বসবাসকারী মেয়র পদে নির্বাচনে প্রার্থী হলে তাকে বয়কট করা হবে বলে জানান তিনি।
গত ১২ নভেম্বর বকশীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। ২৭ নভেম্বর মনোনয়ন দাখিলের শেষ তারিখ এবং আগামি ২৮ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।