বিশেষ প্রতিনিধি ॥ নারী উন্নয়ন ফোরামের সরবারাহকৃত সেলাই মেশিনের আত্মসাতের চেষ্টা কালে বকশীগঞ্জ বাজারে লাঞ্ছিত হলেন উপজেলা পরিষদের নারী সদস্যা জুলেখা বেগম।
বৃহস্পতিবার বিকালে বকশীগঞ্জ মধ্য বাজার এলাকার সরকার মেডিকেল হলের সামানে তিনি মেরুরচর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য শেফালী বেগমের হাতে লাঞ্ছিত হন।
স্থানীয়রা জানায়, গত ১২ জুন উপজেলা নারী উন্নয়ন ফোরামের উদ্যোগে উপজেলা গরিব মহিলাদের জন্য ৩৬টি সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়। মেরুরচর ইউনিয়নের জন্য ২টি সেলাই মেশিন বরাদ্দ দেওয়া হয়। মেশিন দুটি উপজেলা পরিষদের সদস্য জুলেখা বেগম দুটি ভিন্ন আইডি কার্ড দিয়ে একাই দুটি তুলে বাড়ী নিয়ে যায়।
পরে মেরুরচর ইউনিয়নের নারী উন্নয়নের আরও দুই সদস্য ফরিদা বেগম ও শেফালী বেগম জুলেখা বেগমের নিকট সেলাই মেশিন চাইলে ফরিদা বেগমের সাথে চরম দুব্যাবহার করে।
এ সংবাদ শোনে শেফালী বেগম জুলেখা বেগমের নিকট এ ঘটনার ব্যাখ্যা চাইলে তার সাথেও খারাপ আচারণ করার চেষ্টা করে। পরে শেফালী বেগম ক্ষুব্দ হয়ে জুলেখা আক্তারকে মারধোর করে লাঞ্ছিত করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শেফালী বেগম জানান, আমি উপজেলা নারী উন্নয়ন ফোরামের সদস্য। এ কমিটির সদস্য সংখ্যা ২১ জন। প্রতিটি সদস্য যাছাই বাছাই করে একটি করে গরিব অসহায়দের নাম তালিকাভুক্ত করার কথা থাকলেও জুলেখা বেগম নিজের ইচ্ছামত নিজেদের আত্মীয় স্বজনদের নামে তালিকা করে সেলাই মেশিন বরাদ্দ নিয়ে নিজেই আত্মসাৎ করে। এছাড়া তালিকা প্রনয়নের মাধ্যমে দুর্নীতিবাজ জুলেখা বেগম কুট কৌশলে মাস্টার রোল থেকে আমার নাম কেটে ফেলেন। জুলেখা আক্তার একাই ২টি মেশিন নিয়ে তা আত্মসাতের চেষ্টা করে আসছে।
শেফালী বেগম আরও জানান, ২১জন সদস্যের মধ্যে ৩৬টি সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়েছে। আমারটা কই?
আগামীকাল রবিবার এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট একটি দরখাস্ত করবেন বলেও তিনি জানান।
এ বিষয়ে নারী উন্নয়ন ফোরামের সাধারন সম্পাদক জোহরা বেগম জানান, জুলেখা আক্তার একাই ২টি সেলাই মেশিন নিয়েছে বলে শোনেছি। নারী উন্নয়ন ফোরামের উদ্যোগে সেলাই মেশিন বিতরণ কালে আমি উপস্থিত ছিলাম না। আমাকে জানানো হয়নি। কাকে কাকে বিতরণ করা হয়েছে সেটাও আমি জানি না।
উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি তাহামিনা আক্তার পাখি জানান, সঠিক নিয়মেই সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়েছে। তবে জুলেখা বেগম ২টি কার্ড দিয়ে দুটি সেলাই মেশিন নিয়ে বিতরণ করেছেন বলে জানাগেছে।