বুধবার, ০৭ জুন ২০২৩, ০৪:২৭ পূর্বাহ্ন
Bengali Bengali English English
সদ্য পাওয়া :
টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন জামালপুর জেলা শাখার নতুন কমিটি গঠিত বকশীগঞ্জে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা দেওয়ানগঞ্জে মাদ্রাসা শিক্ষকের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন বকশীগঞ্জে পুলিশের অভিযানে বিএনপির ৯ নেতাকর্মী আটক বকশীগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে স্ত্রীর যৌতুকের মামলা দুইবার বিয়ের পরও সন্তান-স্ত্রীকে অস্বীকার করছেন ইউপি চেয়ারম্যান! বকশীগঞ্জে ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু আলীরপাড়া গ্রাম থেকে বিপুল পরিমান অস্ত্র উদ্ধার বকশীগঞ্জে গণধোলাইয়ের শিকার আ.লীগ নেতা সাংবাদিক নাদিমের উপর হামলা কারীদের গ্রেফতার দাবিতে প্রতিবাদ সামাবেশ

না খেয়ে থাহি তবুও, ‘হাসিনার কান্নে মিছা কতা কই’.. বৃদ্ধ মজিতন বেওয়া

Reporter Name
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ৩ জুন, ২০১৭
  • ১৫২০ জন সংবাদটি পড়ছেন

বিশেষ প্রতিনিধি ঃ  আমার নেত্রী শেখ হাসিনা কয় (বলে) বাংলাদেশের মানুষ এহন (এখন) না খেয়ে থাহে (থাকে) না, তার এ কথা হাছা (সত্য) করার নাগি (জন্য) মিছে (মিথ্যা) কথা কই।
আমি যদি কই আমি না খায়ে থাহি তয় হাসিনা মিথ্যুক হযে যাবো এ কথা গুলি বলেছেন সত্তর বছর বয়সি বগারচর ইউনিয়ন মহিলালীগের সভাপতি মজিতন বেওয়া।

পেটে ক্ষুধার দাও দাও আগুন নিয়ে পরের দুটি গরুই যখন তার একমাত্র সম্বল। বয়সের ভারে দিন মজুরের কাজ করতে পারে না স্বামী। সারাদিন রোদে পুরে গরুর ঘাস সংগ্রহ করে জীবিকা চলে। একদিন না গেলেই ২দিন অনাহার।

ভীটিবাড়ী বলেতে মাত্র ২ শতাংশ জমি। তাবুও শেষ মেয়ের বিয়ের দেওয়ার সময় বিক্রি করেছেন ছেলেদের নিকট।

থাকবার জন্য একটি কমমুল্যের টিন দিয়ে তৈরী  একটি খুপরি ঘর। সেটারও টাকার অভাবে সংস্কার করতে পারছে না বৃদ্ধ মজিতন। যে কোন সময় বাতাসে ভেঙ্গে যেতে পারে। জীবন বাচাতে ধার করা বাঁশ দিয়ে বাইরে দিয়ে ঠিকা দেওয়া হয়েছে।

৩ ছেলে বিয়ে করে হয়েছে পর। এখন আর বৃদ্ধ বাবা মাকে দেখে না। ৫টি মেয়ে সবকটি বিয়ে হয়েছে। বাবা-মার অভাবের জন্য তারও আসে না। দুটি গরু তাও আবার অন্যের। আদি নেওয়া হয়েছে।

৭৫ বয়সে স্বামী মোসলিম। এ বয়সেও একটি বয়স্ক কার্ড পায়নি। কারণ টাকা নেই বলে ভাগ্যে জুটেনি বয়স্ক ভাতার কার্ড। মোসলিমের প্রশ্ন কত বয়স হলে বয়স্ক ভাতার কার্ড পাওয়া যায়। আর যদি টাকাই থাকতো আমরা কি কার্ড নিতাম।

গতবছর বগারচর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কোন প্রার্থী মজিতনের নিকট ভোট চায় নাই। আওয়ামীলীগের কর্মী হওয়ায় সবাই জানে মজিতন আওয়ামীলীগ ছাড়া কাউকে ভোট দিবে না। তাই তার নিকট ভোট চেয়ে লাভ নেই।

নিজের আপন লোক (ভাতিজা) চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল, চাচী মজিতনের কাছে ভোট চায়নি, শুধ দোয়া চেয়েছে। চেয়ারম্যান প্রার্থী ভাতিজা বলেছে ‘‘চাচি তুমি তো নৌকা মার্কা ভোট দিবা, আমার তো নৌকা নেই, তবে তুমি আমার জন্য দোয়া করিও’’।
মজিতন বেওয়া জানালেন, তিনি ৬৯ সাল থেকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আসছি, যতদিন বেচে থাকব নৌকার বাইরে যাবার সুযোগ নেই।

গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহানারা বেগম তার বাড়ীতে এসে হাজির। এ সময় দেখা হয় জাহানারার সাথে সাথে। তিনিও জানালেন মজিতন বেওয়া আওয়ামীলীগের নিবেদিত প্রান।

এ বিষয়ে বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নুর মোহাম্মদকে মজিতনের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি আমি এই প্রথম শোনলাম, এর আগে আমাকে কেউ জানায়নি। আওয়ামীলীগের এত নিবেদিত প্রানকে আমরা অবশ্যই মুল্যায়ন করা হবে।

 

পছন্দ হলে শেয়ার করুন

এ ধরনের আরও সংবাদ
সাপ্তাহিক বকশীগঞ্জ
        Develop By CodeXive Software Inc.
HelloBangladesh