স্থানীয় কয়েকজন জানান, গত কয়েক মাস যাবৎ ধরে বেশি লোডশেডিং হচ্ছে। ঘণ্টায় পাঁচ থেকে দশবার বিদ্যুৎ চলে যায়। এতে বিদ্যুৎ না থাকায় বাসাবাড়িতে পানিও থাকছে না। ইলেকট্রনিকস সামগ্রী ও যন্ত্রপাতি ঠিকমতো চালানো যাচ্ছে না। এতে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।
বকশীগঞ্জ পৌর শহরের আবু তালেব বলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিদ্যুৎ থাকে মাত্র পাঁচ থেকে সাত ঘণ্টা। একটু বাতাস শুরু হলেই পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লোকজন বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেন।
বাট্রাজোড় এলাকার আবদুর রফিক বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কোনো ঘোষণা ছাড়াই ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ বন্ধ করে রাখায় ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বকশীগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের ডিজিএর আক্তারুজ্জামান, বকশীগঞ্জ উপজেলায় ২০ হাজার গ্রাহক আছেন। শেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয় থেকে বকশীগঞ্জ উপজেলায় গ্রাহকদের সেবা দেওয়া হয়। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে কিছুদিন ধরে বিদ্যুৎ সরবরাহে সমস্যা হচ্ছে। এখানে চাহিদা ১০ মেগাওয়াট কিন্তু দেওয়া হচ্ছে ৪ মেগাওয়াট। বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি স্বাভাবিক করতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে।